পাচার চেষ্টার সময় ১৩ টন অ্যামফিটামিন ক্যাপ্টাগন মাদক জব্দ করেছে দুবাই পুলিশ। মাদকের এই চালানের মূল্য ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। দরজা এবং বিল্ডিং সাজানোর বিভিন্ন সরঞ্জামের ভেতরে লুকিয়ে এই মাদকের চালান পাচারের প্রচেষ্টা করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে দুবাই পুলিশ। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৩ টন অ্যামফিটামিনের এই চালানকে বিশ্বে ক্যাপ্টাগন ট্যাবলেটের সবচেয়ে বড় চোরাচালানের মধ্যে একটি বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই মাদক চালানের সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে দুবাই পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা একটি ‘আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্রের’ সদস্য।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মাদকের এই চালানটি লুকিয়ে রাখতে চোরাচালানকারীরা এক উদ্ভাবনী পন্থা বের করেছিল। আসবাবের মধ্যে সুকৌশলে ১৩ টন অ্যামফিটামিন লুকিয়ে রেখেছিল তারা। ট্যাবলেটগুলো লুকিয়ে রাখা হয়েছিল ৬৫১টি দরজা এবং ৪৩২টি বিল্ডিং সাজানোর বিভিন্ন সরঞ্জামের ভেতরে।
আসবাবের ভেতর থেকে ১৩ টন অ্যামফিটামিন বের করতে পুলিশের কয়েক দিন সময় লেগেছে বলেও জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।
বৃহস্পতিবার এক টুইটার বিবৃতিতে দুবাইয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ সাইফ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ‘আমিরাত সমাজের নিরাপত্তা এবং মঙ্গলকে বিপন্ন করার লক্ষ্যে পরিচালিত যে কোনো হুমকির বিরুদ্ধে একটি দুর্ভেদ্য দুর্গ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।’
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শেয়ার করা একটি নজরদারি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দুবাইয়ের জেবেল আলি বন্দর দিয়ে মাদকের চালানটি আনার চেষ্টা করছে সন্দেহভাজনরা।
২০১৯ সাল থেকে কয়েক দফায় হাজার হাজার ক্যাপ্টাগন ট্যাবলেট জব্দ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ। আবুধাবি কাস্টমস বলেছে, ২০১৯ সাল থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার ক্যাপ্টাগন ট্যাবলেট জব্দ করেছে তারা।
ক্যাপ্টাগন মূলত সিন্থেটিক স্টিমুল্যান্ট ফেনিথিলাইন ধারণকারী একটি ঔষধি পণ্যের ব্র্যান্ড নাম। যদিও এখন এটির কোনো বৈধভাবে উৎপাদন নেই। তবে ইউরোপিয়ান মনিটরিং সেন্টার ফর ড্রাগস অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিকশন অনুসারে, মধ্যপ্রাচ্যে এখনো নিয়মিত ক্যাপ্টাগন নামের মাদক ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।
মন্তব্য করুন