

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে নতুন করে ভয়াবহ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনার পর দুই দেশের হাজারো মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে গেছে। দুই দেশের মধ্যকার তীব্র লড়াইয়ে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। এটিকে গত জুলাইয়ের যুদ্ধবিরতির পর দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উভয় দেশই একে অপরকে হামলা শুরুর জন্য দায়ী করেছে। থাই প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল বলেন, থাইল্যান্ড সহিংসতা চায় না, তবে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে। অন্যদিকে কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুন সেন থাই সেনাদের আক্রমণকারী আখ্যা দিয়ে প্রতিশোধমূলক হামলার কথা বলেন।
গত মে থেকে বাড়তে থাকা উত্তেজনায় এখন পর্যন্ত ৪০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। এর সঙ্গে খাদ্য-পণ্য আমদানিতে বাধা, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং সীমান্তজুড়ে অস্থিরতা যোগ হয়েছে।
সোমবার থাই সেনাবাহিনী জানায়, কম্বোডিয়ার গুলিবর্ষণের জবাবে তারা উবন রাচাথানি প্রদেশে পাল্টা হামলা চালিয়েছে এবং বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় বিমান হামলাও করেছে। তবে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, আগ্রাসন শুরু করেছে থাইল্যান্ড—তাদের প্রাহ ভিহিয়ার প্রদেশে প্রথম হামলা চালানো হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, সংঘর্ষে অন্তত একজন থাই সেনা ও চারজন কম্বোডিয়ান নাগরিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ডজনখানেক মানুষ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ডে ৫টি প্রদেশে প্রায় ৬৫০টি স্কুল নিরাপত্তার কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলোতেও স্কুল থেকে আতঙ্কিত অভিভাবকরা শিশুকে নিয়ে পালানোর চিত্র দেখা গেছে।
এর আগে গত জুলাইতেও পরীক্ষার সময় হঠাৎ পাঁচ দিনের তীব্র যুদ্ধের কারণে স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। থাই শিক্ষক সিকসাকা পংসুয়ানের মতে, সীমান্তের শিশুরা মূল্যবান সময় ও সুযোগ হারাচ্ছে। এর ফলে দেশের শান্ত অঞ্চলের শিশুদের তুলনায় তাদের পিছিয়ে দিচ্ছে।
মন্তব্য করুন