অভিবাসী শ্রমিকরাও মালয়েশিয়ার উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে বলে স্বীকার করেছে দেশটি। তবে এর আগে প্রবাসীদের অবদানের কথা মৌখিকভাবে স্বীকার করলেও এবারই প্রথমবারের মতো মালয়েশিয়ার জাতীয় সংসদে প্রবাসীদের ভূয়সী প্রশংসা করে তাদের অবদানের কথা স্বীকার করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন, বর্তমানে মালয়েশিয়াতে চালের ঘাটতি সত্ত্বেও সরকার বিদেশি নাগরিকদের জন্য স্থানীয় চাল কেনায় নিষধাজ্ঞা দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা করছে না ।
মালয়েশিয়ার কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তামন্ত্রী মোহাম্মদ সাবু বলেন, 'বিদেশিদেরও তো খেতে হবে'।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দেশটির দেওয়ান রাকয়াতকে তিনি বলেন, অভিবাসী শ্রমিকরাও দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে এবং আমদানিকৃত চালের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির পরে আতঙ্কিত হওয়ার কারণে স্থানীয় চালের ঘাটতি ছিল।
মেলাকা গ্রামীণ উন্নয়ন, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কমিটির চেয়ারম্যান ড. আকমল সালেহ এর আগে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে সরকার শুধু মালয়েশিয়ানদের জন্য স্থানীয় চাল ক্রয় সীমাবদ্ধ করবে।
মোহাম্মদ বলেন, আমদানিকৃত চালের দাম বাড়লে ব্যবসায়ীরা স্থানীয় চাল খুঁজতে শুরু করেন, ফলে চাহিদা বেড়ে যায় এবং ঘাটতি দেখা দেয়। মন্ত্রণালয় নিশ্চিত যে স্থানীয় চালের বর্তমান ঘাটতি এক মাসের মধ্যে কেটে যাবে।
মোহাম্মাদ আরও বলেন, স্থানীয় চালের ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে স্থানীয় হোয়াইট রাইস অপারেশন বাস্তবায়নসহ হস্তক্ষেপের পদক্ষেপগুলো সমস্যার সমাধান করবে। দেশে বর্তমানে চালের মজুদ ৯ লাখ টন। এর মধ্যে রয়েছে ২৫০,০০০ টন স্টক রিজার্ভ এবং ৬৫০, ০০০ টন ট্রেড স্টক।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীদের সংখ্যায় বাংলাদেশি প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে। মালয়েশিয়ার নির্মাণ খাতে একচ্ছত্র আধিপত্য রয়েছে বাংলাদেশি কর্মীদের। নির্মাণ সেক্টর ছাড়াও মালয়েশিয়ার সব সেক্টরে সফলতার সঙ্গে কাজ করছেন বাংলাদেশিরা। নিয়োগকর্তাদের প্রথম পছন্দের তালিকায় এখন শুধু বাংলাদেশি কর্মী।
মন্তব্য করুন