চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের উত্তেজনা বাড়ছে। গত দুই সপ্তাহে এ উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। এ সময়ে তাইওয়ানে সামরিক মহড়া বাড়িয়েছে চীন। ফলে তাইওয়ান বলছে পরিস্থিতি যে কোনো সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে যুদ্ধ বাধাতে পারে। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন এখন উন্মাদের মতো হয়ে গেছে। গত দুই সপ্তাহে তাইওয়ানের পার্শ্ববর্তী শানডং প্রদেশে চীনের অনেক যুদ্ধবিমান, ড্রোন, বোমারু বিমান এবং উড়োজাহাজ মহড়া চালিয়েছে। এ সময়ে তাইওয়ান উপদ্বীপের আশপাশে চীনের যুদ্ধজাহাজ ও ক্যারিয়ারও দেখা গেছে। তাইওয়ানকে চীন তাদের ভূখণ্ড অঞ্চল বলে দাবি করে আসছে।
গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত এ দ্বীপটিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন অনেক মহড়া চালিয়েছে। তাইওয়ানের দাবি, এভাবে মহড়া চালিয়ে চীন তাইপের সার্বভৌমত্ব ও দ্বীপটির ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করছে।
শনিবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চি কু সেন বলেন, চীনের এমন কর্মকাণ্ডের ফলে যে কোনো সময় যুদ্ধের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।
চি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, চীনের যুদ্ধবিমান, জাহাজ ও সামরিক মহড়া বাড়ানোয় এ আশঙ্কা আরও বেড়েছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে উভয়কে আরও মনোযোগ দিতে হবে। কেননা চীনের দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলের উপকূলে যুদ্ধজাহাজ যৌথমহড়া চালিয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চীনের বিমানবাহিনীর ৪০টি বিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় চলে এসেছে। এগুলোর বেশিরভাগ তাইওয়ানের দক্ষিণে বাশি চ্যানেল অতিক্রম করেছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, তাদের মানচিত্র অনুযায়ী এসব বিমানের মধ্যে অন্তত চারটি বিমান তাইওয়ানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে।
এদিকে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই। তবে তার সফরকে ঘিরে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চীন। অঞ্চলটিকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে থাকে চীন। এজন্য স্বশাসিত দ্বীপটিকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে তারা। এমনকি প্রয়োজন হলে বলপ্রয়োগের কথাও জানিয়েছে দেশটি।
মন্তব্য করুন