চীনের আক্রমণ থেকে নিজেদের উপকূলীয় অঞ্চল রক্ষায় ২০২৭ সালের মধ্যে উন্নতমানের অন্তত দুটি ঘরোয়া সাবমেরিন মোতায়েন করার কথা জানিয়েছে তাইওয়ান। পরে এসব সাবমেরিনের সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত নতুন মডেলের আরও সাবমেরিন যুক্ত করা হতে পারে।
আজ সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে থাকে চীন। একসময় স্বশাসিত দ্বীপটিকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে বেইজিং। এমনকি প্রয়োজন হলে বলপ্রয়োগের কথাও জানিয়েছে দেশটি। এ নিয়ে এক বছর ধরে চীন ও তাইওয়ানের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। তাইওয়ান ঘিরে নিয়মিত সামরিক মহড়া চালিয়ে আসছে চীনা সেনারা।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় চীনের বিমানবাহিনীর ৪০টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। এগুলোর বেশিরভাগ তাইওয়ানের দক্ষিণে বাশি চ্যানেল অতিক্রম করেছে।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন আগামী বৃহস্পতিবার মোট আটটি সাবমেরিনের মধ্যে প্রথম দুটি চালু করতে পারেন। ২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তাইওয়ানের জন্য এসব সাবমেরিন তৈরির কর্মসূচি তিনিই গ্রহণ করেছিলেন।
প্রেসিডেন্ট সাইয়ের উপদেষ্টা অ্যাডমিরাল হুয়াং শু-কুয়াং বলেন, বর্তমানে তাইওয়ানের হাতে ১৯৮০-এর দশকে নেদারল্যান্ডের তৈরি করা দুটি সাবমেরিন আছে। আরও আটটি সাবমেরিন যুক্ত হবে। ফলে প্রশান্ত মহাসাগরে চীনা নৌবাহিনীর খবরদারি করা কঠিন হবে।
এর আগে এ প্রকল্প নিয়ে এক বৈঠকে হুয়াং বলেছিলেন, আমরা যদি আমাদের এই যুদ্ধ সক্ষমতা তৈরি করতে পারি, তাহলে আমি মনে করি আমাদের কেউ যুদ্ধে হারাতে পারবে না।
মন্তব্য করুন