মুক্তি পেয়েছেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। ছয় মাস আটক থাকার পর রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তিনি প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তার আইনজীবী জানিয়েছেন, থাইল্যান্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন। সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের ১৫ বছর স্বেচ্ছায় নির্বাসন শেষে স্বদেশে ফিরে মুক্তভাবে প্রথম দিন শুরু করলেন তিনি।
রয়টার্স জানিয়েছে, বর্তমানে থাইল্যান্ডের ক্ষমতায় রয়েছে সিনাওয়াত্রার পরিবার। তবে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ছয় মাস হাসপাতালে বন্দি থাকার পর রোববার তিনি মুক্তি পান। দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে করা মামলায় আট বছরের কারাদণ্ড দেয়া হলেও কয়েকদিনের দার কমিয়ে এক বছর করেন দেশটির রাজা।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, রোববার ভোরে একটি কালো গাড়িতে করে রয়টার্সের সাংবাদিকরা তাকে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেছেন। এ সময় থাকসিনকে তার কনিষ্ঠ কন্যা ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা পেতাংটার্ন তার পাশে বসা ছিলেন।
থাইল্যান্ডের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বয়স ও স্বাস্থ্যগত কারণে মুক্তি পাওয়ার যোগ্য ছিলেন। তাকে হাসপাতালে আটক রাখা হয়েছিল। রোববার ভোরে তাকে বহনকারী গাড়িটিকে হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার ২৫ মিনিট পর ব্যাংককে পরিবারের বাসভবনের সামনে দেখা যায়।
পেতাংটার্ন ইনস্টাগ্রামে বাবার সঙ্গে গাড়িতে একটি ছবি শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি লিখেন, সিনাওয়াত্রা বাড়িতে পৌঁছেছেন। আশা করি তিনি সুস্থ থাকবেন।
সিনাওয়াত্রার আইনজীবী জানিয়েছেন, সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী প্যারোলের কার্যক্রম শেষ করেছেন। এরপর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি পেয়েছেন।
২৫ বছর স্বেচ্ছায় নির্বাসন শেষে ২০২৩ সালের আগস্টে দেশে ফেরেন থাকসিন সিনাওয়াত্রা। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি থাইল্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং দুবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৬ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।
মন্তব্য করুন