বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ জাপান। যাকে বলা হয় প্রাচ্যের গ্রেট ব্রিটেন। অর্থনৈতিক দিক ছাড়াও এশিয়ায় বিশ্ব মোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র এই জাপান। এমন অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিধর দেশের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সম্প্রতি দেখা করতে চেয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে। তবে তার এই চাওয়াকে বলতে গেলে তেমন পাত্তাই দিলেন না কিম। বরং সাক্ষাতের জন্য জুড়ে দিয়েছেন শর্তের নানান বেড়াজাল। খবর রয়টার্সের।
সোমবার (২৫ মার্চ) কিম জং উনের প্রভাবশালী বোন কিম ইয়ো জংয়ের বরাতে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, ভিন্ন এক চ্যানেলের মাধ্যমে কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন ফুমিও কিশিদা।
তবে কিম বলেন, জাপান বাস্তবসম্মত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি না, সেটার ওপর নির্ভর করবে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক। জাপানি প্রধানমন্ত্রীর জানা উচিত যে তিনি চান কিংবা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই আমাদের দেশের নেতৃত্বের সাথে দেখা করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, জাপান যদি উত্তর কোরিয়ার বিরোধিতা করে; এর সার্বভৌম অধিকার লঙ্ঘন করে তাহলে দেশটি আমাদের শত্রু হিসেবে বিবেচিত হবে এবং আমাদের লক্ষ্যবস্তুর অংশ হবে।
কিশিদা বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই তিনি আলোচনা করতে চান। বিগত ২০ বছরে দুই দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে প্রথমবারের মতো এমন কোনো বৈঠক আয়োজনের বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে তদারকি করছেন তিনি।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির নেত্রী ও কিমের বোন গত মাসে বলেছিলেন, কিশিদা কোনো একদিন পিয়ংইয়ং সফর করতে পারেন। তিনি বলেন, যদি জাপান পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্মানজনক আচরণের ওপর ভিত্তি করে সম্পর্কের উন্নতির জন্য একটি নতুন পথ খোলার বিষয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমার মনে হয় দুই দেশ একটি নতুন ভবিষ্যৎ উন্মোচন করতে পারবে।
মন্তব্য করুন