কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৪, ১২:৪৭ পিএম
আপডেট : ২১ জুন ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মুসলিম দেশটিতে নিষিদ্ধ হলো হিজাব, ঈদ উদ্‌যাপনে বাধা

হিজাব পরা কয়েকজন নারী। ছবি : সংগৃহীত
হিজাব পরা কয়েকজন নারী। ছবি : সংগৃহীত

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ তাজিকিস্তানে হিজাব পরিধান নিষিদ্ধ করে আইন পাস হয়েছে। দেশটির সংসদের উচ্চকক্ষে আইনটি পাস হয়। এ ছাড়া আইনটির মাধ্যমে ঈদ উদ্‌যাপনেও বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে।

এশিয়া প্লাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (১৯ জুন) মজলিসি মিলির ১৮তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিলটি উত্থাপন করা হলে তা সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাস হয়।

আইনে হিজাবকে ‘এলিয়েন পোশাক’ বলে উল্লেখ করা হয়। অপরদিকে ঈদ উদ্‌যাপনকে বিদেশি সংস্কৃতি বলা হয়। আর দেশটি তা সমর্থন করতে পারে না বলেও যুক্তি তুলে ধরা হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়, শিশুরা ঈদ উদ্‌যাপনে বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবে না। দেশটিতে তা ‘ইদগারদাক’ নামে পরিচিত। মূলত শিশুরা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন সড়ক ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে গিয়ে লোকজনকে অভিবাদন জানায়।

এর আগে তাজিকিস্তানের সংসদের নিম্নকক্ষ ‘মজলিসি নমোয়ানদাগন’ ৮ জুন হিজাব ও ইদগারদাক নিষিদ্ধ করার বিলটি অনুমোদন করে।

মজলিসি মিলি প্রেস সেন্টার বলছে, অধিবেশনে ছুটির দিন, ঐতিহ্য ও আচার-অনুষ্ঠান, সন্তান লালনপালনে শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা, পিতামাতার দায়িত্ব সংক্রান্ত দেশের আইনের সংশোধনীকে সমর্থন করা হয়েছে।

আইনটি মূলত হিজাব, ইসলামিক হেড স্কার্ফ ও ইসলামিক পোশাকের অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী ধরনকে লক্ষ করে প্রণীত। বলা হচ্ছে, এসব পোশাক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তাজিকিস্তানে আসতে শুরু করে এবং দেশটিতে ছড়িয়ে পড়ছে। সরকারের কর্মকর্তারা এ পোশাক ধারণকারীদের ইসলামিক চরমপন্থিদের সঙ্গে তুলনা করছেন।

তাজিকিস্তান মধ্য এশিয়ার স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র। এর উত্তরে কিরগিজস্তান, উত্তরে ও পশ্চিমে উজবেকিস্তান, পূর্বে গণচীন এবং দক্ষিণে আফগানিস্তান। দুশান্‌বে দেশের বৃহত্তম শহর ও রাজধানী।

দেশটির ৯৬.৪ শতাংশ অধিবাসী মুসলমান। তাজিকিস্তানে ২০০৯ সালে ইসলামকে সরকারি ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়টি সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর মধ্যে তাজিকিস্তানকে আলাদা করে তুলেছে। তবে তাজিকিস্তানে অন্য যেকোনো ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।

বাকিদের মধ্যে অর্থোডক্স, প্রোটেস্ট্যান্ট ও ক্যাথলিক খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও ইহুদি রয়েছে। তাজিকিস্তানের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার ভোগ করতে ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোকে নিবন্ধন করতে হয়। এই নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল উপাসনার জন্য একত্রিত হতে পারে না। এর ব্যতিক্রম করলে বড় অঙ্কের জরিমানার পাশাপাশি তাদের উপাসনাস্থল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীরের প্রচারণায় কঠোর নির্দেশনা

ইয়ামালকে যে সতর্কবার্তা দিলেন ক্রুস

পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি

জুলাইয়ের ৯ দিনে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১০, আক্রান্ত ৩২৯৮

চট্টগ্রামে উন্মুক্ত নালায় তলিয়ে গেল তিন বছরের শিশু

বাংলাদেশে এল হিটাচির টপ লোড স্মার্ট ওয়াশিং মেশিন ও আধুনিক ডিশওয়াশার

সিরিজ হারের পরও র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হৃদয়-সাকিবের

তিন কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন শাকিব খান!

পাইকগাছায় ১১০ বিঘা সরকারি খাস জমি আত্মসাতের চেষ্টা

চার বছর পর টেস্ট দলে ফিরছেন আর্চার

১০

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠান পালনের নির্দেশ

১১

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও পরিবারের ৫৭৬ কোটি টাকা ফ্রিজ

১২

ভারতে ঢুকেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৩

পলাতক আ.লীগ নেতাকে ধরে পুলিশে দিল স্থানীয় জনতা

১৪

পাকিস্তানি অভিনেত্রীর মরদেহ নিতে অস্বীকৃতি বাবার

১৫

পানিতে ফেলে যমজ মেয়েকে হত্যা করেন মা 

১৬

চব্বিশের পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে ঐক্য নয় : জমিয়ত

১৭

ইসরায়েলে র‌্যাগিংয়ের নামে নবীন সেনাদের যৌন নির্যাতন, ৭ সিনিয়র আটক

১৮

মুরাদনগরের সেই নারীর ভিডিও ছড়ানোর ‘মূলহোতা’ ৫ দিনের রিমান্ডে

১৯

পরিবেশবান্ধব ভাস্কর্যের দাবিতে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিল কক্সবাজার কমিউনিটি অ্যালায়েন্স

২০
X