কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৪, ১১:৩৪ এএম
আপডেট : ২৯ জুন ২০২৪, ০১:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গান-সিনেমা দেখায় গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

একটি সিনেমা হলে দর্শকরা। ছবি : সংগৃহীত
একটি সিনেমা হলে দর্শকরা। ছবি : সংগৃহীত

বিদেশি গান বা সিনেমা দেখলেই পেতে হচ্ছে কঠোর সাজা। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, সেসব গান-সিনেমা পশ্চিমাদের প্রোপাগান্ডা।

তাই যারাই গান শুনছেন বা সিনেমা দেখছেন, তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে। শরিয়া আইনে পরিচালিত না হয়েও বছরের পর বছর এমনই কাণ্ড ঘটিয়ে যাচ্ছে এশিয়ারই এক দেশ।

আর নীরবে এসব ঘটনার সাক্ষী হচ্ছে দেশটির নাগরিকরা। এমনই কয়েকজন চাক্ষুস সাক্ষীর চাঞ্চল্যকর বয়ান সামনে আসতেই হইচই পড়ে গেছে।

বিদেশি গান শোনা বা সিনেমা দেখা যাবে না, দেখলেই গুলি খেয়ে মরতে হবে। এমন ভীতিকর পরিবেশ থেকে বাঁচতে প্রাণ নিয়ে পালিয়েছেন অনেকে। আশ্রয় নিয়েছেন প্রতিবেশী দেশে। এরপর প্রকাশ্যে এনেছেন এসব ঘটনা।

উত্তর কোরিয়ার এসব ঘটনা দুনিয়ার সামনে তুলে ধরেছে দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনিফিকেশন মন্ত্রণালয়। দক্ষিণ কোরিয়ার গান শোনা বা সিনেমা দেখায় নিজ দেশের নাগরিকদের পাখির মতো গুলি করে মারছেন কিম জং উন।

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ‘স্নায়ুযুদ্ধ’ চলছে উত্তর কোরিয়ার। তাই দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো কিছুই সহ্য করতে পারেন না কিম জং উন। প্রতিবেশী দেশের ‘প্রোপাগান্ডায়’ ভরা গান বা সিনেমা, তাদের দেশের সংস্কৃতি নষ্ট করছে, তাই কারও কাছে দক্ষিণ কোরিয়া গান-সিনেমা পেলেই কার্যকর করা হয় মৃত্যুদণ্ড। ২০২০ সালে করা একটি আইনের বলে এমন সাজা কার্যকর করে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।

জনপ্রিয় কে-পপ শোনা, সিনেমা দেখা এবং সেগুলো শেয়ার করার অপরাধে দুই বছর আগে ২২ বছরের এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে কিম জং উনের প্রশাসন। উত্তর কোরিয়ার একজন দেশত্যাগীর বর্ণনার ভিত্তিতে দক্ষিণ কোরিয়া জানায়, প্রকাশ্যে বন্দুকের গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় ওই যুবককে। বিদেশির সংস্কৃতি দেশের ভেতর আনার অপরাধে ওই শাস্তি কার্যকর করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনিফিকেশন মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার রিপোর্ট-২০২৪ প্রকাশ করে। সেখানে উত্তর কোরিয়ার ৬৪৯ জন দেশত্যাগীর সাক্ষ্য রয়েছে।

একটি সাক্ষ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার ৭০টি গান শোনায়, তিনটি সিনেমা দেখায় এবং সেগুলো বিতরণ করায় ২০২২ সালে দক্ষিণ হোয়ানঘায়ে প্রদেশে ২২ বছরের এক যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

কিম জং উনের বাবা কিম জং ইল উত্তর কোরিয়ায় কে-পপ নিষিদ্ধ করেছিলেন। পশ্চিমা ও তাদের মিত্রদের সংস্কৃতির ‘খারাপ প্রভাব’ থেকে নিজ দেশের জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কিম জং ইল। তার ছেলে কিম জং উন ক্ষমতায় কড়াকড়ি আরও বৃদ্ধি করেন। পাশাপাশি কঠোর একটি আইনও তৈরি করেন। তবে উত্তর কোরিয়ার সরকার সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তাদের দাবি, দেশটির নেতৃত্বকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এটি একটি ষড়যন্ত্র।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে তুমুল সংঘর্ষ

‘শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডের শহীদ পরিবারকে সহযোগিতা করবে সরকার’

অসুস্থ বিএনপি নেতা ডা. রফিকের খোঁজ নিতে বাসায় জোনায়েদ সাকি

আফগানদের কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে বাংলাদেশের সিরিজ হার

যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল ম্যাচ শেষে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ৪

চট্টগ্রামে কনসার্টে গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১

চিহ্নিত ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠানের ওপর দেওয়া উচিত নয় : বিএনপি

জবি তরুণ কলাম লেখক ফোরামের নেতৃত্বে ইমন-সোহান

এনসিপির ‘পলিসি ও রিসার্চ উইং’ গঠন, দায়িত্ব পেলেন যারা

নড়াইলে সাংবাদিকদের মিলনমেলা

১০

‘তিন মাসের মধ্যে ৬ লেনের কাজ দৃশ্যমান হবে’

১১

শাবিপ্রবির ২৫ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত

১২

ওমরজাইয়ের বোলিং তোপে বিপদে বাংলাদেশ

১৩

প্রবীণদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে : টুকু

১৪

শুধু বক্তব্যে নয়, বাস্তব কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে বিএনপি মানুষের পাশে রয়েছে : আনোয়ারুজ্জামান

১৫

গুম-খুনে জড়িতদের সঙ্গে আপস নেই : আখতার হোসেন

১৬

বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান দুলুর

১৭

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার

১৮

গুম-দুর্নীতি বন্ধে ধানের শীষে ভোট দিন : আশিক

১৯

গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণ, ভাইয়ের পর চলে গেল বোনও

২০
X