রাশিয়ার মস্কোর টিভের অঞ্চলে একটি বেসরকারি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত সব আরোহীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে মস্কোর টিভের অঞ্চলের কুজেনকিনো গ্রামের কাছে ১০ আরোহী নিয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
রুশ জরুরি পরিস্থিতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে নিহত ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর তল্লাশি অভিযানে ইতি টানে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, বিমানে ১০ জন যাত্রী ছিলেন। এদের মধ্যে তিন জন ক্রু সদস্য। বিমান দুর্ঘটনায় তাদের সবারই মৃত্যু হয়েছে। বিমানটি মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে যাচ্ছিল।
বিধ্বস্ত হওয়া এই বিমানে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনও ছিলেন বলে জানিয়েছে রুশ সরকারি বার্তা সংস্থা তাস। এ দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে ওয়াগনার সংশ্লিষ্ট টেলিগ্রাম চ্যানেল গ্রে জোন।
রাশিয়ার বিমান চলাচল সংস্থার প্রকাশিত তথ্য থেকে দেখা যায়, এই বিমানের যাত্রী তালিকায় ওয়াগনারের কমান্ডার ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা দিমিত্রি উটকিনের নামও রয়েছে। তিনিও এই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছে গ্রে জোন।
এদিকে মস্কোর এই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পেছেনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাত থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ‘(রাশিয়ায়) কী ঘটেছে, তা আমি জানি না। তবে আমি আশ্চর্য হয়নি। রাশিয়ায় এমন কিছু ঘটে না, যেখানে পুতিনের হাত নেই।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবেই পরিচিত ওয়াগনারপ্রধান প্রিগোজিন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিল ওয়াগনার সেনারা। এমনকি ইউক্রেনের বাখমুত শহর দখলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে ওয়াগনার বাহিনী।
তবে রুশ সামরিক নেতাদের প্রতি অসন্তোষ থেকে গত ২৩ জুন বিদ্রোহের ঘোষণা দেন প্রিগোজিন। যদিও বেলারুশের প্রেসিডেন্টের লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় সেই বিদ্রোহ সরে আসেন তিনি। এ বিদ্রোহের পর পুতিনের চক্ষুশূলে পরিণত হন প্রিগোজিন।
এ বিদ্রোহের ঘটনার পর থেকে প্রিগোজিনের নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক করে আসছিলেন পশ্চিমা কর্মকর্তারা। অনেকটা রাখঢাক ছাড়াই প্রিগোজিনকে হত্যা করা হতে পারে বলে দাবি করেন বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন