

ইতালি থেকে ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এজন্য বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও লিওনার্দো এসপিএ ইতালির মধ্যে লেটার অব ইনটেন্ট (সম্মতিপত্র) স্বাক্ষর হয়েছে। এর ফলে আলোচনায় আসছে বিমানটি।
সংবাদমাধ্যম তুর্কি টুডের এক প্রতিবেদনে চতুর্থ প্রজন্মের এ যুদ্ধবিমানের বেশিকিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইউরোফাইটার টাইফুন হলো যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি এবং স্পেনের বহুজাতিক সহযোগিতায় উন্নত একটি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। ৪.৫ প্রজন্মের মাল্টি-রোল কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট হিসেবে ডিজাইন করা ইউরোফাইটার আকাশ-থেকে-আকাশ ও আকাশ-থেকে-স্থল উভয় মিশনে নিশানা করতে পারে।
দ্বৈত ইঞ্জিন ও ডেল্টা-উইং নকশার সমন্বয়ে নির্মিত এই বিমানটি প্রায় দুহাজার ৪৯৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে উড়তে সক্ষম। উচ্চ থ্রাস্ট রেশিও এবং উন্নত ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেমের কারণে এটি যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের তুলনায় উল্লেখযোগ্য সুবিধা প্রদান করে।
ইউরোফাইটারে রয়েছে উন্নত রাডার সিস্টেম, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সরঞ্জাম এবং সেন্সর ফিউশন প্রযুক্তি। এসব সিস্টেম পাইলটকে একই সময়ে অপারেশনাল এলাকার আকাশ ও স্থল উপাদানগুলো পর্যবেক্ষণে সক্ষম করে।
এই বিমানটিআকাশ-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র এবং স্টর্ম শ্যাডো ও ব্রিমসটনের অত্যাধুনিক গোলাবারুদ বহন করতে পারে। ইউরোপের যৌথভাবে উৎপাদিত এই প্ল্যাটফর্মটি ১৩টি বাহ্যিক অস্ত্র স্টেশনে সর্বোচ্চ নয় টন গোলাবারুদ বহন করতে সক্ষম। বিমানটি ন্যাটোর আকাশ শক্তি অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, ইউরোফাইটার টাইফুন একটি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, যা নিকটবর্তী আকাশযুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকরভাবে লড়াই করার জন্য নকশা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে এতে ক্রমবর্ধমানভাবে উন্নত এয়ার-টু-সারফেস হামলা পরিচালনার সক্ষমতা যুক্ত করা হয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও সরঞ্জাম—যেমন স্টর্ম শ্যাডো, ব্রিমস্টোন ও মার্টে ইআর মিসাইল—ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। টাইফুন প্রথম যুদ্ধ অভিযানে অংশ নেয় ২০১১ সালে লিবিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের সময়। এ সময় যেখানে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল এয়ার ফোর্স (আরএএফ) এবং ইতালীয় বিমানবাহিনী এটি আকাশ নজরদারি ও স্থল-আঘাত (স্ট্রাইক) মিশনে ব্যবহার করে। এই ধরনের বিমান অধিকাংশ গ্রাহক দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা দায়িত্বেও প্রধান ভূমিকা পালন করে আসছে।
মন্তব্য করুন