বেলারুশে আগামী জুলাইয়ে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে রাশিয়া। ৭ ও ৮ জুলাই বিশেষ সংরক্ষণ ব্যবস্থা প্রস্তুত হওয়ার পর এসব কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করা হবে বলে আজ শুক্রবার জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দেশের বাইরে প্রথমবারের মতো এমন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে রাশিয়া।
বহু দশক ধরে ইউরোপীয় দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে গত মার্চে পুতিন ঘোষণা দেন, তিনি বেলারুশে এ ধরনের অস্ত্র মোতায়েন করবেন।
ক্রেমলিনের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার কৃষ্ণ সাগর উপকূলের সোচি শহরের একটি রিসোর্টে পরিকল্পিত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের বিষয়ে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে আলোচনা করেন পুতিন। লুকাশেঙ্কোকে পুতিন বলেন, ‘সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে। ৭ ও ৮ জুলাই বিশেষ সংরক্ষণ ব্যবস্থা প্রস্তুত হবে। এরপর আমরা অবিলম্বে আপনার ভূখণ্ডে উপযুক্ত অস্ত্র মোতায়েন কার্যক্রম শুরু করব।’ জবাবে লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘ধন্যবাদ, ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ।’
৭০ বছর বয়সী পুতিন এ যুদ্ধকে রাশিয়ার টিকে থাকার যুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি পশ্চিমাদের সতর্ক করে বলেছেন, মস্কো পিছপা হবে না।
অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলছেন, সব রুশ সৈন্যকে তার দেশ থেকে না সরানো পর্যন্ত ইউক্রেন বসে থাকবে না। ইউক্রেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ন্যাটোতে যোগ দিতে চায় বলেও জানান তিনি।
এদিকে পুতিনের পারমাণবিক পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপে দেশটির ন্যাটো মিত্র এবং চীন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে বারবার সতর্ক করছে তারা।
পুতিনের পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের বিষয় নিয়ে সমালোচনা করলেও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে—এমন কোনো লক্ষণ তারা দেখছে না।
মন্তব্য করুন