কৃষ্ণ সাগরের শস্যবাহী যেকোনো জাহাজ গেলেই হামলার ইঙ্গিত দিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সঙ্গে শস্যচুক্তি বাতিলের পর দেশটির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাশিয়ার সামরিক বাহিনী কৃষ্ণ সাগরে চলাচলকারী জাহাজের জন্য নতুন এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমার কিছু এলাকা নিরাপদ নয়। বৃহস্পতিবার থেকে ইউক্রেনের বন্দরগামী জাহাজগুলোকে অস্ত্রবাহী জাহাজ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। তাই তাদের জন্য সামরিক হুমকি রয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোনো জাহাজ ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরীয় অঞ্চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধরে নেওয়া হবে তারা ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভের পক্ষ নিয়েছে এবং সেটি অস্ত্র বহন করছে।
দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, কৃষ্ণ সাগরীয় অঞ্চলে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমার কিছু অঞ্চল সাময়িকভাবে অনিরাপদ। মস্কোর সময় ২০ জুলাই ২০২৩ থেকে ইউক্রেনগামী সামুদ্রিক জাহাজগুলোকে যুদ্ধের অস্ত্রবাহক হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুলাইয়ে রাশিয়া ইউক্রেনের মাঝে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণ সাগরে বছরব্যাপী শস্য রপ্তানির চুক্তি হয়। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় রাশিয়া আন্তর্জাতিক অংশী সম্প্রদায়ের কাছে তাদের ওপর দেওয়া রফতানি বিধিনিষেধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত এ করিডোরে শস্য রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। রাশিয়ার দাবি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দেওয়া শস্য ও সার রপ্তানিতে বিধিনিষেধ তুলে নিলেই করিডোর পুনরায় চালু করা হবে।
অন্যদিকে ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়া সহযোগিতা করুক আর না ই করুক তারা বিশ্বে শস্য রপ্তানি চালিয়ে যাবে। কেননা বিশ্বকে খাদ্য সংকটে ফেলার একক অধিকার কারও নেই। জাতিসংঘ বলছে, রাশিয়ার এমন পদক্ষেপ বিশ্ব খাদ্য পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।
মন্তব্য করুন