কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৫, ১০:২৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ভারতের তিনগুণ বেশি প্রতিরক্ষা বাজেট চীনের

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পিএলএকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছেন। ছবি: সংগৃহীত
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পিএলএকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছেন। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেটের প্রায় তিনগুণ বরাদ্দ করেছে চীন। ২০২৫ সালের জন্য দেশটির প্রতিরক্ষা বাজেট ৭ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৫ বিলিয়ন ডলার, যেখানে ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেট ৭৯ বিলিয়ন ডলার। বিশ্লেষকদের মতে, চীনের প্রকৃত সামরিক ব্যয় ঘোষিত বাজেটের চেয়েও ৪০-৫০ শতাংশ বেশি হতে পারে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকার ২০৩৫ সালের মধ্যে পিপলস লিবারেশন আর্মিকে (পিএলএ) বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ও শক্তিশালী সামরিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে। নতুন বাজেটে স্থল, নৌ, আকাশ, পরমাণু, মহাকাশ ও সাইবার নিরাপত্তায় ব্যাপক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র-চীন সামরিক উত্তেজনা

চীনের প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধির ঘোষণার একদিন আগেই দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, তারা যেকোনো ফ্রন্টে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধে প্রস্তুত। চীনের এই অবস্থানের জবাবে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেঠ বলেছেন, ‘আমরাও প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্র শান্তি বজায় রাখতে চায়, তবে প্রয়োজনে যুদ্ধে অংশ নিতেও পিছপা হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘চীন অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে এবং উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত করছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যেতে চায়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তির পক্ষে, তবে সেই শান্তি শক্তির মাধ্যমেই বজায় রাখা সম্ভব।’

ভারতের তুলনায় চীনের প্রতিরক্ষা বাজেট

বিশ্লেষকদের মতে, চীনের প্রকৃত প্রতিরক্ষা ব্যয় সরকারি ঘোষণার চেয়েও বেশি হতে পারে। সরকারি হিসাবে এটি বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রতিরক্ষা বাজেট, যা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের (৯০০ বিলিয়ন ডলার) পরেই অবস্থান করছে।

ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা ও সামরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রেক্ষাপটে চীনের এই বিপুল সামরিক বাজেট ভারতের জন্যও কৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে, চীনের সামরিক সম্প্রসারণ দক্ষিণ চীন সাগর ও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শক্তির ভারসাম্যে পরিবর্তন আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

চীনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্য

চীনের সামরিক নীতির মূল লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য চ্যালেঞ্জ করা, তাইওয়ানের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা, দক্ষিণ চীন সাগরে আধিপত্য বজায় রাখা ও প্রযুক্তিগত সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা। বিশেষ করে, চীন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ড্রোন প্রযুক্তি, মহাকাশ যুদ্ধ ও পরমাণু অস্ত্র সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে বিশেষ জোর দিচ্ছে।

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উত্তেজনা এবং প্রতিযোগিতা ভবিষ্যতে এশিয়া ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তথ্যসূত্র: দ্য ওয়াল, বিবিসি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কঠোর গোপনীয়তায় কারাগার থেকে সরানো হলো স্ত্রীসহ সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে

যমুনা অভিমুখে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীরা, পুলিশের বাধা

ছেলে-মেয়েকে গলা কেটে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা

শীতে চুলের যত্নে যা করবেন

ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে উৎপাদনে যাচ্ছে জিলবাংলা চিনি কল

প্রবাসীদের জন্য কঠোর সিদ্ধান্ত কুয়েতের, ডিসেম্বরে কার্যকর

‘সুগার ড্যাডি’ চক্র বন্ধ চেয়ে আইনি নোটিশ

আপনারা সবটুকু জেনে সত্যটাই প্রকাশ করবেন: তানজিন তিশা

শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের

ধানের শীষ মানুষের আস্থার প্রতীক : জালাল উদ্দিন

১০

শীতের সকাল বা সন্ধ্যায় গরম গরম সুপ সারাবে ঠান্ডা ও গলার ব্যথা

১১

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ

১২

কুকুর কামড়ে কান ছিঁড়ে নিল শিশুর, মালিক গ্রেপ্তার

১৩

উপদেষ্টা পরিষদে গণভোট অধ্যাদেশ পাস

১৪

বৈশাখের বরুণ ফুটেছে অগ্রহায়ণে, বিলাচ্ছে মুগ্ধতা

১৫

সাগরে আরেকটি লঘুচাপ, কমবে তাপমাত্রা

১৬

অন্যদের কাছে সম্মান পেতে যা করা জরুরি

১৭

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শিখবে কবে?

১৮

মেট্রোরেল কার্ডের অনলাইন রিচার্জের উদ্বোধন 

১৯

পঞ্চগড়ে ২ হাজার বস্তা সার জব্দ

২০
X