অভিযান সাফল্য নিয়ে নানাজনের নানা মতবাদ থাকলেও খরচের বিচারে যে অসাধ্য সাধন করেছে ভারতের চন্দ্রযান-৩ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এক্ষেত্রে অসামান্য কৃতিত্ব অর্জন করেছে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরো। তুলনার খাতিরে সম্প্রতি চন্দ্রযান-৩ এর বাজেট এবং জনপ্রিয় হলিউড সায়েন্স ফিকশন ছবি ইন্টারস্টেলারের বাজেটের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
এই তুলনা করেছে নিউজথিঙ্ক নামক একটি সংবাদমাধ্যম। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়টি টুইট করেছে ওই প্রতিষ্ঠান, যা শেয়ার করেছেন সাংবাদিক সিন্ডি পম। এই তুলনায় স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে, ইন্টারস্টেলার ছবির থেকে অর্ধেক খরচ হয়েছে চন্দ্রযান-৩ প্রজেক্টে।
ইন্টারস্টেলার ছবিতে যেখানে ১৬৫ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে, সেখানে চন্দ্রযান-৩ এ খরচ হয়েছে ৭৫ মিলিয়ন ডলার। যা ওই ছবির বাজেটের অর্ধেকের থেকেও কম। ক্রিস্টোফার নোলান পরিচালিত এই ছবি দর্শকদের মাঝে বিপুল জনপ্রিয়। মহাকাশ নিয়ে তৈরি এই ছবি অনেক পুরস্কারও পেয়েছে।
এ বিষয়টি চোখ এড়ায়নি স্পেস-এক্স প্রধান ইলন মাস্কের। ওই টুইটে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইলন মাস্ক। তিনি লিখেছেন, গুড ফর ইন্ডিয়া! সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ভারতের পতাকা।
ইসরোর এই অভিযান ইতোমধ্যে বিশ্বে সাড়া ফেলেছে। প্রতিক্রিয়া দিয়েছে নাসা থেকে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি। এত কম খরচে ভারতের চন্দ্রাভিযানের প্রশংসা করেছেন বড় বড় বিজ্ঞানীরাও। ইলন মাস্কের এই প্রতিক্রিয়ায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। কেউ লিখেছেন অবশেষে মানুষ ভারতের মূল্য বিবেচনা করছে। আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ইলন আপনাকে ধন্যবাদ, দেখুন আমরা মঙ্গল গ্রহের দৌড়েই জিততে পারি।
প্রসঙ্গত, এর আগে রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন সফলভাবে চাঁদের মাটিতে ল্যান্ড করতে পেরেছে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করতে পারে চন্দ্রযান-৩। এতে করে চন্দ্রযান-৩ সফল হওয়ায় বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে এই কীর্তি গড়ল ভারত।
মন্তব্য করুন