কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার বদলায় ভারত যে অভিযানে নেমেছে, সেই অপারেশন সিঁদুরে জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মুহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের ১০ আত্মীয় নিহত হয়েছে। একই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে তার চার সহযোগী।
বিবিসি লিখেছে, পাকিস্তানের পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুরে ‘সুবহান আল্লাহ’ মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তানভিত্তিক জয়শ-ই-মোহাম্মদের (জেইএম) পক্ষ থেকে বুধবার (৭ মে) এক বিবৃতিতে এ খবর দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তার (মাসুদ আজহারের) বড় বোন, বড় বোনের স্বামী, ভাতিজা ও ভাতিজার স্ত্রী, ভাতিজি এবং পরিবারের পাঁচ শিশুও রয়েছে।
মাওলানা মাসুদ আজহার জেইএমের প্রধান। জাতিসংঘ তাকে ‘সন্ত্রাসী’ ও জইশ-ই-মুহাম্মদকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
তবে এ বিষয়ে ভারত বা পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯৯৪ সালে মাসুদ আজহার ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
ভারতীয় একটি বেসামরিক বিমান ছিনতাই করে তালেবানশাসিত আফগানিস্তানে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে ১৯৯৯ সালে। সেই সময় ক্রু ও যাত্রীদের জীবনের বিনিময়ে ভারত যে তিনজনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল, মাসুদ আজহার তাদের একজন।
এনডিটিভি লিখেছে, ৫৬ বছর বয়সী মাসুদ আজহার ভারতের একাধিক সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে ২০০১ সালের পার্লামেন্ট হামলা, ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলা এবং ২০১৬ সালের পাঠানকট হামলা।
ভারত থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মাসুদ আজহার সশস্ত্র গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদ প্রতিষ্ঠা করেন।
মন্তব্য করুন