বিয়ের ঘটকালি যে সবসময় আনন্দদায়ক নয় সেটিই দেখা গেল সাম্প্রতিক এক ঘটনায়। বিয়ে স্থায়ী না হওয়ার ক্ষোভে ঘটককে হত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে এক যুবক। উদ্বেগজনক এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের ম্যাঙ্গালুরুতে। জানা গেছে, দাম্পত্য কলহে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ঘটককে হত্যা করে ওই যুবক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বিয়ে বেশিদিন না টেকায় ঘটককে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের নাম মুস্তফা (৩০)। আর নিহত ঘটকের নাম সুলেমান (৫০)।
খবরে বলা হয়, আট মাস আগে সুলেমানের মাধ্যমে শাহিনাজ নামের এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় মুস্তফার। কিন্তু ওই বিয়ে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কিছুদিনের মধ্যেই তাদের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে যায়। এরপর পিতা-মাতার কাছে চলে যান শাহিনাজ। এরপর মুস্তফা ও সুলেমানের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়।
পুলিশের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বুধবার সুলেমানকে ফোন করেন মুস্তফা। এরপর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। বিষয়টি সুরাহার জন্য দুই ছেলে রিয়াব ও সিয়াবকে নিয়ে মুস্তফার বাড়িতে যান সুলেমান। ছেলেদের বাইরে রেখে মুস্তফার সঙ্গে ঘরের ভেতর আলাপ করেন তিনি। তবে ওই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি।
ছেলেদের নিয়ে যখন মুস্তফার বাড়ি ত্যাগ করবেন এমন সময় বাইরে এসে হুমকি দিতে থাকেন অভিযুক্ত যুবক। এক পর্যায়ে তিনি সুলেমানের ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করে বসেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান সুলেমান। এরপর তিনি দুই ছেলেকেও ছুরি মেরে আহত করেন। ছেলেরা কোনোভাবে পালিয়ে যান এবং স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে পৌঁছান।
রাত ১১টার দিকে আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা সুলেমানকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে দুই ছেলের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
ঘটনার পর ম্যাঙ্গালুরু রুরাল থানায় অভিযুক্ত মুস্তাফার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস), ২০২৩-এর অধীনে খুন, হত্যার চেষ্টা ও হামলার ধারায় মামলা করা হয়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন