ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে প্রথম শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক সামরিক প্রশিক্ষণ চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের স্কুল শিক্ষামন্ত্রী দাদা ভুঁসে সোমবার (২ জুন) এই ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, এই উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম, শৃঙ্খলা এবং দৈনন্দিন শরীরচর্চার অভ্যাস গড়ে তোলা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক বিবৃতিতে মন্ত্রী ভুঁসে বলেন, প্রথম শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীদের মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এতে তারা দেশের প্রতি ভালোবাসা অনুভব করবে এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার পাশাপাশি শৃঙ্খলার চর্চা করতে শিখবে, যা তাদের সারাজীবনের জন্য উপকারে আসবে।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে অবসরপ্রাপ্ত প্রায় ২.৫ লাখ সৈনিকের সহযোগিতা নেওয়া হবে। সেইসঙ্গে এনসিসি, স্কাউট-গাইড এবং ক্রীড়া শিক্ষকরাও এ প্রকল্পে যুক্ত থাকবেন বলে জানান মন্ত্রী।
এই উদ্যোগের প্রতি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই পরিকল্পনা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ৭ মে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিন্দুর’ পরিচালনা করে। একই সময়ে সারা দেশে ‘অপারেশন অভ্যাস’-এর অধীনে একটি জাতীয় মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
৩১ মে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে ‘অপারেশন শিল্ড’ এর আওতায় দ্বিতীয় দফায় মহড়া চালানো হয়। এই মহড়াগুলোর মূল লক্ষ্য ছিল সম্ভাব্য শত্রু হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুতি হিসেবে বেসামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা।
জাতীয় নিরাপত্তা জোরদারে এই সামরিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
মন্তব্য করুন