ভারতে এক মানবসম্পদ (এইচআর) কর্মকর্তার লিংকডইন পোস্ট ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। পোস্টে তিনি জানান, সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত এক কর্মী বেতন পাওয়ার মাত্র পাঁচ মিনিট পরই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। সকাল ১০টায় তার বেতন অ্যাকাউন্টে জমা হয়, আর ১০টা ৫ মিনিটেই ই-মেইলে পদত্যাগপত্র আসে।
এইচআর কর্মকর্তার দাবি, নতুন কর্মীর জন্য কোম্পানি প্রচুর সময় ও অর্থ ব্যয় করেছে। অনবোর্ডিং, নথিপত্র যাচাই থেকে শুরু করে কয়েক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ- সব কিছুর পরও কর্মী বেতন হাতে পেয়েই চাকরি ছেড়ে দেওয়া নৈতিকতার পরিপন্থি।
তিনি অভিযোগ করেন, এই ধরনের হঠাৎ পদত্যাগ ইচ্ছাশক্তির অভাব, পরিণতিহীনতা এবং দায়িত্বহীনতার পরিচায়ক এবং যদি তারা মনে করেন কোনো পদ বা প্রতিষ্ঠান তাদের জন্য সঠিক নয় তাহলে কর্মীদের সততার সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রতিনিধিদের ভারত সফর বাতিল
তিনি আরও যুক্তি দেন, কর্মী যদি থেকে যাওয়ার ইচ্ছা না রাখতেন, তবে আগেই জানাতে পারতেন বা অন্তত সম্মানজনকভাবে বিদায় নিতে পারতেন। তার মতে, ক্যারিয়ার গড়তে দরকার অধ্যবসায় ও অঙ্গীকার, কেবল বেতনের টানে চাকরি বদল নয়।
তবে পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই কর্মীর পক্ষে কথা বলেছেন। তাদের মতে, বেতন কাজের বিনিময়, দয়া নয়- তাই বেতন পাওয়ার পর চাকরি ছেড়ে দেওয়া অনৈতিক নয়। অনেকে আরও বলেন, কোম্পানিগুলো নিজেরাও তো প্রায়ই বিনা নোটিশে কর্মীদের ছাঁটাই করে, কখনো আবার মাসের মাঝপথেই।
একজন মন্তব্য করেন, কর্মীরা সবসময় অভিযোগ জানাতে পারেন না। তাই অনেক সময় চুপচাপ বেতন নিয়ে বিদায় নেওয়াই সহজ সমাধান।
অন্যরা আবার এইচআর কর্মকর্তাকেই অপ্রফেশনাল বলেছেন- এমন অভ্যন্তরীণ বিষয় প্রকাশ্যে আনা তার অপরিপক্বতার প্রমাণ।
এমন বিতর্কিত পোস্টে কর্মক্ষেত্রের নৈতিকতা ও কর্মচারী-নিয়োগকর্তার দায়বদ্ধতা নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
মন্তব্য করুন