ভারতের আসামের শিলচরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি) থেকে পাঁচ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযোগ, তারা ক্যাম্পাসে বাংলাদেশি কিছু শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালিয়েছে, যার ফলে কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন।
এনআইটি পরিচালক দিলীপ কুমার বৈদ্য জানিয়েছেন, বহিষ্কৃত এই পাঁচ শিক্ষার্থীকে শিগগিরই দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
ক্যাম্পাস সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, পাঁচজন শিক্ষার্থীই ভারতীয় কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন্স (আইসিসিআর) বৃত্তির আওতায় এনআইটিতে পড়াশোনা করছিলেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের হোস্টেল কক্ষে অনুসন্ধানের সময় নেশাজাতীয় দ্রব্য পাওয়া গেছে।
পরিচালক বৈদ্য আরও জানিয়েছেন, ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে যে তারা ক্যাম্পাসে সহিংসতায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তাই তাদের দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে হোস্টেল থেকেও তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।’
ঘটনাটি ঘটে গত ৮ সেপ্টেম্বর। তৃতীয় বর্ষের কয়েকজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিজের দেশেরই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। শিক্ষার্থীদের কল্যাণ বিষয়ক ডিন এসএস ধর জানান, অভিযুক্তদের কক্ষে পাওয়া নেশাজাতীয় দ্রব্যকেও শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নেওয়ার সময় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এক শিক্ষার্থী, নাম প্রকাশ না করার শর্তে, বলেন, ‘প্রথমে অভিযুক্তরা তাদের ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। পরে যখন সিনিয়ররা হস্তক্ষেপ করতে চেষ্টা করেন, তখন তারা আলো বন্ধ করে অস্ত্র ব্যবহার করে আবারও হামলা চালায়, ফলে অনেকে আহত হয়।’
হামলায় গুরুতর আহতদের শিলচর মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকদের তথ্য অনুযায়ী, দুই শিক্ষার্থীর মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে এবং তাদের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বিষয়ক ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে। আইসিসিআর-এর গুয়াহাটী শাখার পরিচালকও তদন্ত এবং নেওয়া পদক্ষেপে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
মন্তব্য করুন