স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছেন গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা সার্গেই ব্রিন। ধনকুবের এলন মাস্কের সঙ্গে স্ত্রী নিকোল শানাহানের অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ করে তিনি ডিভোর্স দিয়েছেন। পেজ সিক্সের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালতের নথি অনুসারে গত ২৬ মে তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে। দাম্পত্য জীবনে তাদের চার বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। পরকীয়ার অভিযোগে তাদের মধ্যকার দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
নথি অনুসারে ডিভোর্সের ব্যাপারে শানাহান কোনো আপত্তি করেননি। তবে তিনি আদালতের কাছে স্ত্রী হিসেবে তার পাওনা চেয়েছিলেন। এরপর তারা আইনজীবীর মাধ্যমে সম্পদের ভাগাভাগিসহ সব প্রক্রিয়া শেষ করেছেন।
বিজনেজ ইনসাইডারের তথ্যমতে, ২০১৫ সালে ব্রিন ও শানাহানের প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল। এরপর ওই বছরই প্রথম স্ত্রী অ্যানি ওজসিকিকে ডিভোর্স দেন। ২০১৮ সালে তিনি শানাহানকে বিয়ে করেন। এরপর ২০২১ সালে তারা আলাদাভাবে বসবাস করতে শুরু করেন এবং ব্রিন ২০২২ সালে ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেন।
নিউইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, ধনকুবের ও বন্ধু এলন মাস্কের সাথে শানাহানের পরকীয়ার এক মাসের মধ্যে ব্রিন বিচ্ছেদের আবেদন করেন। যদিও পরকীয়ার ব্যাপারটি মাস্ক এবং শানাহান দুজনেই অস্বীকার করেছেন।
এ নিয়ে গত ২৫ মে ২০২২ তারিখে টুইটারে একটি পোস্ট দেন মাস্ক। সেখানে তিনি বলেন, গত রাতে আমি আর ব্রিন একটি পার্টিতে ছিলাম। শানাহানের সঙ্গে গত তিন বছরে আমার দুবার দেখা হয়েছে। এ সময়ে আশপাশে অনেক লোকজন ছিল। আমাদের মাঝে রোমান্টিক কিছু ছিল না।
পরকীয়ার বিষয়ে শানাহান বিষয়টিকে খুবই ঠুনকো অভিযোগ বলে দাবি করেন। মাস্ক কেবল তার বন্ধু ছাড়া কিছু নয় বলেও জানান তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জুলাইয়ে শানাহান বলেন, আমার আর মাস্কের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে না কি আমরা একান্তে সময় কাটিয়েছি? এমনকি আমাদের মধ্যে কোনো রোমান্টিক সম্পর্ক বা পরকীয়াও ছিল না।
উল্লেখ্য, ব্লুমবার্গের সূচক অনুসারে ৫০ বছর বয়সী গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ব্রিন বিশ্বের নবম ধনী ব্যক্তি। তার সম্পত্তির পরিমাণ ১১৮ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে শানাহান বিশ্বের ৩৪তম ধনী ব্যক্তি ও ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক আইনজীবী।
মন্তব্য করুন