অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র গঠন করা হয়েছে। তার জন্য সাত থেকে দশ দিন রিমান্ড চাইবে আদালত। খবর এনডিটিভি।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ ) রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াকে। কথিত ‘মদনীতি’ কেলেঙ্কারির অভিযোগে আজ শুক্রবার (২২ মার্চ ) বিকেলে শহরের রাউজ এভিনিউ আদালতে হাজির করা হয় তাকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে এ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে বলে জানানো হয়।
কেজরিওয়াল প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যাকে গ্রেপ্তার করল দিল্লি পুলিশ। এর আগে যিনি দিল্লির আব্দুল কালাম রোডে ইডির অফিসে রাত কাটিয়েছিলেন।
এদিকে আদালতে তার পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট বিক্রম চৌধুরী এবং সহকর্মী অভিষেক মনু সিংভি এক ভিডিও বার্তায় জানানো হয়েছে।
কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারকে চ্যালেঞ্জ করে তার আইনজীবীরা রিট করলে সুপ্রিমকোর্টে তা বাতিল করে দেয়। গত সপ্তাহে একই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেতা কবিতার অভিন্ন আবেদন প্রত্যাখ্যান করার পর এটি ছিল শীর্ষ আবেদন। কবিতার আবেদনের শুনানির জন্য যে বেঞ্চটি ছিল তাকে বলা হয়েছিল আইনি প্রটোকল অনুসরণ করতে হবে। তার জন্য প্রথমে ট্রায়াল কোর্ট পরে আপিল দায়ের করতে হবে।
কবিতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেজরিওয়ালের আইনি প্রতিনিধিরা জানান, তার আবেদন ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া করা হয়েছে বলে তা প্রত্যাহার করতে হবে।
সূত্র বলেছে, দলটি বিশ্বাস করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি অর্থহীন হবে। কারণ ইতোমধ্যে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালত বিআরএস নেতার ক্ষেত্রে মন্তব্য করে বলেন, আপনার কাছে ক্ষমতার সাথে অর্থও আছে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা আপনাকে ঠাট্টা করতে পারি না।
আদালতের পক্ষে আইনজীবী সিংভি বলেছেন, আমরা সুপ্রিম কোর্ট থেকে পিটিশন প্রত্যাহার করেছি। কারণ এটি রিমান্ডের সাথে সাংঘর্ষিক। আমরা রিমান্ডে পক্ষে যুক্তি দেব এবং এখানে ফিরে আসব।
এদিকে কেজরিওয়ালের আইনজীবীরা জানান, সাধারণ নির্বাচনের কয়েক সাপ্তাহ আগে তার গ্রেপ্তার দেশব্যাপী তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। যা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চলতে পারে না। গ্রেপ্তারে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি শুধু অভিযুক্ত করা হয়েছে।
সাবেক জেল কর্মকর্তা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, এএপি জোর দিয়েছিল কেজরিওয়াল সরকারের প্রধান হিসাবে কাজ করবেন। তা যদি শহরের তিহার জেলের ভিতরে থেকেও করা হয়। বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী তা কঠিন হতে পারে। কারণ কেজরিওয়াল সপ্তাহে মাত্র দুটি বৈঠকে সীমাবদ্ধ থাকবেন। তবে তার বিকল্পও হতে পারে। সাথে গৃহবন্দিও করা হতে পারে তাকে। উল্লেখ্য, দিল্লির হাইকোর্ট গ্রেপ্তার থেকে সুরক্ষা দিতে অস্বীকার করায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ১২ জন কর্মকর্তার একটি দল তার বাসভবনে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে বাসভবনে থাকা নথিপত্র এবং অন্যান্য উপকরণ জব্দ করে। রাত ৯টার দিকে তিনবারের এ মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মন্তব্য করুন