ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত পশ্চিমবঙ্গ। একের পর এক আসছে মৃত্যুর খবর। এবার একই ঘটনায় বাবা-ছেলের মৃত্যুর খবর এল। এ নিয়ে অঞ্চলটিতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চারজন মারা গেলেন।
সোমবার (২৭ মে) আনন্দবাজারসহ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়, সকালে পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে ঝড়ে ভেঙে পড়া কলাগাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পর্শ হন বাবা ফড়ে সিংহ (৬৪)। তাকে বাঁচাতে ছেলে তরুণ সিংহও (৩০) বিদ্যুৎস্পর্শ হন।
বাড়ির লোকজন ওই অবস্থা থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রথমে বড়শুল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্বজনরা জানান, বর্ধমান মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা বাবা-ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে রোববার রাতে কলকাতার এন্টালিতে বাড়ির কার্নিস ভেঙে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এ ছাড়া সোমবার সকালে মৌসুমি দ্বীপে মাথায় গাছ ভেঙে পড়ে এক বৃদ্ধা মারা যান।
পৌরসভার সূত্রে জানান গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শিয়ালদহে একজন আহত হয়েছেন। ক্যামাক স্টিটে একটি বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে পড়েছে। শেকসপিয়র থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, বারবার সতর্ক করার পরও সচেতন না হওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটছে। আমরা আমাদের কাজ করে চলেছি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কেন্দ্রভাগ ঢাকা অতিক্রম শুরু করেছে। এর প্রভাবে রাজধানীতে ব্যাপক বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, উপকূলে ঝড়, বৃষ্টি, জোয়ার আর জলোচ্ছ্বাসের তাণ্ডব চালিয়ে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কেন্দ্রভাগ ঢাকায় ঢুকবে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার, বৃষ্টি আরও বাড়বে।
একই অবস্থা পশ্চিমবঙ্গেও। সেখানে দিনভর ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। অনেক এলাকার রাস্তা-ঘাট বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়কে ভেঙে পড়েছে গাছ। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, জলবদ্ধতা নিরসনে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন।
মন্তব্য করুন