পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে শারীরিক সম্পর্ক গড়লে সেটিকে ধর্ষণ বলা যাবে না বলে উল্লেখ করেছে ভারতের একাধিক হাইকোর্ট। দেশটির বিভিন্ন আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, সঙ্গীর সাথে মতের অমিল হলে নারীরা ধর্ষণবিরোধী আইনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন।
সম্প্রতি ভারতের উত্তরখণ্ড হাইকোর্ট এক মামলার রায় দিতে গিয়ে আবারও এমন পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে। ভারতের জনপ্রিয় পত্রিকা আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির একাধিক হাইকোর্ট জানিয়েছে, দুজনের সম্মতির ভিত্তিতে যৌনসম্পর্ক গড়লে এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করলেও তাকে ধর্ষণ বলা যাবে না। এর আগে দেশটির সুপ্রিম কোর্টও জানিয়েছিল, বিয়ে ছাড়া দুজন প্রাপ্তবয়স্ক নিজেদের সম্মতির ভিত্তিতে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলে তাকে ধর্ষণ বলা যাবে না। এবার উত্তরখণ্ড হাইকোর্টও একই পর্যবেক্ষণ জানাল।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, গত ৫ জুলাই একটি ধর্ষণের মামলা খারিজ করে দেয় উত্তরখণ্ড হাইকোর্ট। ২০২০ সালের ৩০ জুন এক নারী মামলাটি দায়ের করে। এতে বলা হয়, ২০০৫ সাল থেকে এক পুরুষের সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক ছিল। চাকরি পেয়ে বিয়ে করবেন এমন প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে তারা এ সম্পর্কে জড়ান। কিন্তু চাকরি পেয়ে ওই পুরুষ অন্য নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পরও তাদের মাঝে সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
মামলার পর্যবেক্ষণে উচ্চ আদালত জানায়, বিবাহিত জেনেও পুরুষের সঙ্গে স্বেচ্ছায় সম্পর্ক রাখেন ওই নারী। ফলে তাদের মধ্যে সবসময় সম্মতি ছিল।
এ প্রসঙ্গে উত্তরখণ্ড হাইকোর্টের বিচারপতি শরদকুমার শর্মার বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানায়, ভারতীয় ‘দণ্ডবিধির ৩৭৬ নম্বর অনুচ্ছেদ’ বা ধর্ষণবিরোধী আইনের অপব্যবহার করছেন কেউ কেউ।
মন্তব্য করুন