ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একটি নীতিগত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সৌদি আরবের জেদ্দায় একটি শান্তি সম্মেলন শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার (৫ আগস্ট) জেদ্দায় এ সম্মেলন শুরু হয় বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
দুদিনের এই সম্মেলনে চীন, ইন্দোনেশিয়া, মিসর, মেক্সিকো, চিলি, জাম্বিয়াসহ ৪০টি দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করতে পারেন। তবে এতে রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
গত শুক্রবার সম্মেলনে যোগদান করবে এমন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এসব দেশের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে খাদ্য সংকটে পড়া বিভিন্ন দেশও রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নিরাপত্তা ইস্যুতে। আফ্রিকা, এশিয়া ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের কোটি কোটি মানুষের ভাগ্য নির্ভর করছে এই শান্তি ফর্মুলা কত দ্রুত বাস্তবায়ন হচ্ছে তার ওপর।’
আরও পড়ুন : রাশিয়াকে ছাড়াই শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করছে সৌদি
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স বলছে, এ সম্মেলনের সবচেয়ে বড় সাফল্য রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনের যোগদান। যদিও গত জুনে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন সম্মেলনে দেশটি যোগদানে বিরত ছিল।
ইউক্রেন ও পশ্চিমা কর্মকর্তারা প্রত্যাশা করছেন, রাশিয়া না থাকায় শান্তি প্রক্রিয়ায় ইউক্রেনের অনুকূলে আন্তর্জাতিক সমর্থন মিলবে।
গত বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, তিনি আশা করছেন সৌদির এই উদ্যোগ একটি শীর্ষ শান্তি সম্মেলনে পরিণত হবে। বিশ্ব নেতারা ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য নীতিমালা গ্রহণ করবে। আর এটা হবে তারই দেওয়া ১০ দফার ওপর ভিত্তি করে।
গত বছর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের ছয় ভাগের এক ভাগ দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, নতুন বাস্তবতা কিয়েভ মেনে নিলেই শান্তি আলোচনা সম্ভব। তবে কিয়েভ বলছে, ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার করার পরই তারা আলোচনার টেবিলে বসবে।
সৌদির শান্তি সম্মেলন নিয়ে চলতি সপ্তাহের শুরুতে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন, এই সম্মেলনে কী লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় এবং কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হবে, তা আগে রাশিয়াকে বুঝতে হবে। শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ইতিবাচক মূল্যায়ন প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন