কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় নারকীয় হামলা, বাতাসে পোড়া লাশের গন্ধ

ধ্বংসপ্রাপ্ত বুলডোজারের পাশে গাজার বাসিন্দারা। ছবি  : সংগৃহীত
ধ্বংসপ্রাপ্ত বুলডোজারের পাশে গাজার বাসিন্দারা। ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী নারকীয় হামলার মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। এবার তারা বিমান হামলা চালিয়ে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মৃতদের উদ্ধারে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ধ্বংস করেছে। এ ছাড়া গাজার বিভিন্ন স্থানে বেসামরিক লোকদের লক্ষ্য করে হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদাররা।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভোর থেকে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে ৩২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এর মধ্যে খান ইউনিসে বাড়ির ভেতরে ১১ জন পুড়ে মারা গেছে। ওই বাড়ির আশপাশের বাতাসে পোড়া লাশের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

একই দিন পশ্চিম গাজা সিটিতে আশ্রয় নেওয়া বাড়িতে বিমান হামলায় একই পরিবারের সাত সদস্য নিহত হন। নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে একদল লোককে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলায় দুই মেয়েসহ তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মধ্যরাতে গাজা শহরের আল-তুফাহ পাড়ায় অবস্থিত আল-দুররা শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে গোলাবর্ষণ করেছে। টেলিগ্রামে একটি পোস্টে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় ওই হাসপাতালের সৌর প্যানেলও ধ্বংস হয়ে গেছে।

এদিকে গাজার বর্তমান অবস্থা যেন এক বন্দিশিবিরে রূপ নিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী উপত্যকার প্রধান সংযোগ সড়কগুলো বন্ধ করে ফেলার পাশাপাশি গাজাকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে ফেলেছে। জানা গেছে, গাজার মোট ভূখণ্ডের ৬৯ শতাংশকেই ‘নো-গো জোন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে দখলদার ইসরায়েল, যেখানে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা প্রবেশ তো দূরের কথা, নড়াচড়াও করতে পারছে না।

সংঘাতময় এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকার যুদ্ধবিরতির সময় মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের পুনরায় গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা করছে, যেন হামাসের ওপর চাপ আরও বাড়ানো যায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বন্দরে ট্রাক থেকে ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার 

প্রশান্ত মহাসাগরে আরও দুই জাহাজে মার্কিন হামলা, নিহত ৫

শীতের সকালে দৌড়ানো কি শরীরের জন্য ভালো

হাত বাঁধা অবস্থায় পড়ে ছিল অজ্ঞাত যুবতীর মরদেহ

এনসিপি নেত্রী রুমীর দাফন সম্পন্ন 

সুস্থ থাকতে প্রতিদিন যত কদম হাঁটা জরুরি

ঢাকায় রওনা দিলেন হাদির পরিবার

শাহবাগে জুমার নামাজ আদায় করলেন ছাত্র-জনতা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা কবে জানাল বোর্ড

২৯ ট্যাংকারে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

১০

এনসিপির কর্মসূচিতে পরিবর্তন

১১

রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পিত মবক্রেসিকে রুখে দিন : আবিদ 

১২

১৩১ বছর বয়সী সুফিয়া বেগম মারা গেছেন

১৩

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

১৪

বান্দরবানে পুলিশ সুপার কার্যালয় ঘেরাও

১৫

ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, আটক ১২

১৬

ভারতকে হারিয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

১৭

‘আমরা সবাই হাদি হবো, যুগে যুগে লড়ে যাব’

১৮

সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ল কয়েকটি চিতাবাঘ

১৯

বেনাপোলে লংমার্চ টু বর্ডার ও অবস্থান কর্মসূচি পালন

২০
X