গত বছরের নভেম্বরে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরায়েল লেবাননের সঙ্গে প্রায় ৩২০০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। লেবাননের কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এতে অন্তত ২০০ জন নিহত ও প্রায় ৪০০ জন আহত হয়েছেন।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২২ মে) ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান লেবাননের দক্ষিণের নবাতিয়েহ অঞ্চলের তৌল জেলায় একটি স্থানে বিমান হামলা চালায়। এর আগে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অবিচাই আদ্রায়ী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (এক্স) জানিয়ে দেন, ওই স্থানে থাকা বেসামরিকদের দ্রুত সরিয়ে যেতে বলেন। পোস্টে বলা হয়, তারা সেখানে হিজবুল্লাহর একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাবে। তবে লেবাননের সংবাদমাধ্যম হামলার খবর নিশ্চিত করলেও কোনো হতাহতের খবর জানায়নি।
একই দিনে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনী লেবাননের পূর্ব বেকা উপত্যকায় হিজবুল্লাহর আরেকটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়। এই ঘাঁটিতে রকেট লঞ্চার ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম রাখা ছিল।
এ ছাড়া, রব থালাথিন ও আল-ওয়াজ্জানি এলাকায় ড্রোন হামলায় অন্তত একজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সীমান্তবর্তী গ্রাম মুহাইবিবেও ইসরায়েলি ড্রোন আক্রমণ চালানো হয়েছে।
ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারির মধ্যে লেবাননের দক্ষিণ থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার করার কথা ছিল। কিন্তু ইসরায়েল সে সময়সীমা অতিক্রম করে ফেব্রুয়ারি ১৮ পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে এবং এখনও সীমান্তে পাঁচটি সামরিক ঘাঁটিতে তাদের বাহিনী মোতায়েন রেখেছে।
এ হামলা ও লঙ্ঘনগুলো লেবাননে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
শাফাক নিউজ
মন্তব্য করুন