ওমান সাগরে একটি বিট্রিশ গুপ্তচর জাহাজকে আটকে দিয়েছে ইরানের নৌবাহিনীর সদস্যরা। শুধু আটকে দিয়ে ক্ষান্ত হয়নি দিক পরিবর্তন করতেও বাধ্য করেছে তারা।
ইরানের সংবাদমধ্যম মেহের নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। মেহের নিউজ জানিয়েছে, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে ইরানের ভূখণ্ডে নির্ভুলভাবে প্রবেশে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে এই ব্রিটিশ জাহাজটি আগের রাতে উত্তর ভারত মহাসাগর দিয়ে প্রবেশ করে। তবে ইরানের নৌবাহিনীর গোয়েন্দা ব্যবস্থা জাহাজটিকে সহজেই শনাক্ত করে ফেলে। পরে তাদের ব্রিটিশ জাহাজটিকে গতিপথ পরিবর্তন করতে বাধ্য করে ইরান।
এদিকে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলে বড় হামলা চালাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
আলজাজিরা জানিয়েছে, কয়েক ঘন্টার মধ্যে ইসরাইলে ‘বড়সর ও ধ্বংসাত্মক’ হামলা হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েল আগেই ধারণা করেছিল শনিবার (১৪ জুন) রাতে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে ইরানের সামরিক বাহিনী। ইসরায়েলি আর্মি রেডিওর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানিয়েছিল, তেহরানের হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছে ইসরায়েল সেনাবাহিনী।
শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে ইসরায়েলে যেভাবে ইরানের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে ইরান, ঠিক একইভাবে আবারও হামলা চালাতে পারে তেহরান।
এর আগে শুক্রবার রাতে তেল আবিবে ইরান শতাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে চারজন নিহত ও অনেক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল শুক্রবার ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানা লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়।
এ ছাড়া আবাসিক স্থানেও হামলা চালায় তেল আবিব। হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ একাধিক কমান্ডারসহ ৮০ জন নিহত হয়েছে। যাদের মধ্যে ২০ জন শিশু রয়েছে।
এদিকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান সংঘাতে নিজেদের সেনাদলে আহত হওয়ার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
শনিবার (১৪ জুন) দেশটির সেনাবাহিনীর দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, মধ্য ইসরায়েলে গভীর রাতে এই হামলা হয়, যা ছিল তাদের ওপর ইরানের পাল্টা আক্রমণের অংশ।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইলগুলোর আঘাতে অন্তত ৭ সেনা আহত হন। তাদের তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসার পর সবাইকে হাসপাতাল থেকে ছাড়াও দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন