আত্মরক্ষার অংশ হিসেবে অষ্টম হামলার পর এবার নবম দফায় আবারও ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসলামী বিপ্লব গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ইসরায়েলের হাইফা, নেগেভ মরুভূমিতে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ও কিরিয়াত গাতে অন্তত ৩০টি ও কারো কারো মতে ৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
হামলায় সামরিক ও অর্থনৈতিক স্থাপনাগুলোতে বড় ধরনের ক্ষতি হয় এবং হাইফার অনেক এলাকায় অগ্নিকাণ্ড ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা দেখা যায়।
ইরান বলেছে, ইসরায়েল বিনা উসকানিতে তাদের সার্বভৌম ভূখণ্ডে হামলা চালায়। জবাবে শুক্রবার গভীর রাতে ট্রু প্রমিস-৩’ অভিযানটি শুরু হয়।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ২২৪ জন বেসামরিক মানুষ নিহত ও ১২০০ জন আহত হন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
প্রচারণার অংশ হিসেবে টেল আবিব ও গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিতে হামলা শুরু করে ইরান। রবিবারের হামলাটি ছিল টানা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হাইফায় তৃতীয় আঘাত। এখানে গুরুত্বপূর্ণ অপরিশোধন কেন্দ্র, রাসায়ন কারখানা ও নৌ ঘাঁটি রয়েছে। অপর দিকে নেগেভ মরুভূমিতে রয়েছে দিমোনা পারমাণবিক কেন্দ্র ও গোপন ঘাঁটি, অপর দিকে কিরিয়াত গাতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অর্ধপরিবাহী কারখানা যা দেশটির সামরিক সরঞ্জামে ব্যবহৃত হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, অগ্নিকাণ্ড ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এবং দমকল বাহিনী তা নেভাতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে, অন্তত সাতটি ভবন সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।
জাতিসংঘের আইন অনুযায়ী, আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে রাষ্ট্রগুলোর। তাই এই হামলাকে আত্মরক্ষার অংশ বলেই দাবি করেছে ইরান। আইআরজিসিতে বলা হয়েছে, ‘অধিকৃত সরকারের অপরাধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলতে থাকবে।’
তেহরান টাইমস
মন্তব্য করুন