ইরানজুড়ে কয়েক ডজন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এসব হামলায় ৩০টি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, রোববার (২২ জুন) যুদ্ধবিমান দিয়ে ইরানের ৪টি প্রদেশে হামলা চালানো হয়েছে। ইরানের ইসফাহান, বুশেহর, আহভাজ ও ইয়াজদ প্রদেশের সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করা হয়েছে এসব হামলায়। এতে কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলেও দাবি করেছে ইসরায়েলি পক্ষ।
তারা জানায়, প্রথম দফার হামলায় ইয়াজদ অঞ্চলের একটি ক্ষেপণাস্ত্র সদর দফতরকে টার্গেট করা হয়। এরপর হামলা চালানো হয় ইসফাহান, বুশেহর ও আহভাজের সামরিক স্থাপনায়।
ইসরায়েলের এসব দাবির সত্যতা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত বা প্রত্যাখ্যান করেনি তেহরান।
উল্লেখ্য, বুশেহর প্রদেশেই ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অবস্থিত। এর আগে বুশেহরের বিষয়ে সতর্ক করেছিল জাতিসংঘ। সংস্থাটির পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা (আইএইএ) শনিবার বলেছিল, বুশেহর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালালে বিপজ্জনক মাত্রায় তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এর আগে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার মধ্যরাতে ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামে এই অভিযানে তারা ‘বি-২ বোমারু’ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ইরানের নাতাঞ্জ, ফোর্দো এবং ইসফাহান পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘ইরানের তিন পরমাণুকেন্দ্রে সফলভাবে হামলা চালানো হয়েছে। সেখানে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে।’
ওই হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র সীমারেখা অতিক্রম করেছে বলে মন্তব্য করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতিকে ‘ধ্বংস’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তথ্যসূত্র : বিবিসি
মন্তব্য করুন