যুক্তরাষ্ট্রের কথিত হামলায় ইরানের ৩টি পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হওয়ার দাবি ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই দাবির পর মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে হামলার হুমকি দিয়েছে ইরান। খবর আল জাজিরার।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর নতুন প্রধান আবদোল রহিম মোসাভি এক বিবৃতিতে বলেন, অপরাধী যুক্তরাষ্ট্রের জানা উচিত- ইসরায়েল নামের অবৈধ সন্তানের শাস্তির পাশাপাশি ইসলামের যোদ্ধারা এখন মার্কিন স্বার্থ ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও যে কোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। আমরা কখনোই পিছপা হব না।
তেহরান জানায়, মার্কিন আগ্রাসনের জবাবে শুধু ইসরায়েল নয়, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে থাকা মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো এখন থেকে বৈধ লক্ষ্যবস্তু।
এদিকে ইরানে কৌশলগত প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেওয়া এবং পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে সরে আসার বিষয়েও আলোচনা চলছে। দেশটির পার্লামেন্টের একাধিক সদস্য ইতোমধ্যে এনপিটি ত্যাগ ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করার প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ থেকে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে স্থানীয় সময় সোমবার (২৩ জুন) সিরিয়ার হাসাকাহ প্রদেশে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলায় ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যের কাতার, কুয়েত, সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিস (সিআরএস)-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ৫১টি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের অন্তত ১২৮টি ঘাঁটি রয়েছে, যেখানে হাজার হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।
তেহরান হুঁশিয়ার করে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি এভাবে ইরানের অভ্যন্তরে হামলা চালায়, তবে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন স্বার্থই ঝুঁকিতে পড়বে।
মন্তব্য করুন