ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার ফলে শুধু একটি কেন্দ্রের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে বলে একটি নতুন গোয়েন্দা মূল্যায়নে জানা গেছে। তবে তেহরান যদি শিগগিরই পরমাণু চুক্তির আলোচনায় রাজি না হয়, তবে বাকি দুটি স্থানে হামলা নিয়ে মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। তাদের বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইসরায়েল।
যুক্তরাষ্ট্র গত জুনে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের মধ্যে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। মার্কিন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এনবিসি জানায়, ওই হামলায় ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এখন নতুন একটি মূল্যায়নে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের তিনটি লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে একটি পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। বাকি দুটি স্থাপনায় ততটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম প্রায় দুই বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে সরাসরি না বললেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, ইসফাহান ও নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম ছিল। মার্কিন কর্মকর্তাদের ধারণা, ইরান কয়েক মাসের মধ্যেই এসব স্থাপনায় কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে সক্ষম হতে পারে।
এনবিসি আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল উভয় সরকারের অভ্যন্তরে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে যে যদি ইরান শিগগিরই ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি পুনরায় আলোচনায় রাজি না হয়, তাহলে ইসফাহান ও নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় তারা আবারও হামলা চালাবে।
তবে ইরান বহু দিন ধরেই বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে শান্তিপূর্ণ এবং বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়ে আসছে।
মন্তব্য করুন