কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইরানের শীর্ষ কমান্ডারদের হত্যার আগে যেভাবে খোঁজ পেত মোসাদ

টার্গেট কিলিং পদ্ধতি, প্রযুক্তিগত দক্ষতার মাধ্যমে এসব হত্যাকাণ্ড হয়। ছবি : সংগৃহীত
টার্গেট কিলিং পদ্ধতি, প্রযুক্তিগত দক্ষতার মাধ্যমে এসব হত্যাকাণ্ড হয়। ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েলি হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) কমপক্ষে ২০ জন সিনিয়র কমান্ডার নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন পরমাণুবিজ্ঞানীকেও হত্যা করা হয়। এসব হামলা এতটাই নিখুঁত ছিল যে ধারণা করা হয়েছে, তাদের অবস্থান সম্পর্কে আগে থেকেই জানত ইসরায়েল।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, ইসরায়েলি বাহিনী কীভাবে এসব তথ্য সংগ্রহ করল? কীভাবে নিশানা বরাবর একে একে সবাইকে পেয়ে গেল?

সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই রহস্য ফাঁস করলেন ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক উপপ্রধান রামে ইগ্রা। তিনি টার্গেট কিলিং পদ্ধতি, প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও রাজনৈতিক দায় নিয়ে মুখ খোলেন।

ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যায় মোবাইল ফোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে টার্গেট নির্ধারণ করেছে মোসাদ— এমনটা জানা সংস্থাটির সাবেক উপপ্রধান।

বিবিসির ইরান বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক খাজরা নাজির এক প্রশ্নের উত্তরে রামি ইগ্রা বলেন, সবই তথ্যপ্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে করা হয়েছে। বিশেষ করে সাইবার জগৎ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যদি আপনার হাতে একটি মোবাইল থাকে, তাহলে আপনার কোনো কিছুই গোপন নেই। এটা সবার জন্য প্রযোজ্য। আর যদি রেভল্যুশনারি কমান্ডার হয়, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। তাদের বাসা কোথায়, কোন ফ্ল্যাটে থাকে, এসব জানা যায়।

ব্যাখ্যা করে রামি বলেন, মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কমান্ডারদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর অত্যাধুনিক গাইডিং সিস্টেমযুক্ত মিসাইল দিয়ে হামলা চালানো হয়।

এখন প্রশ্ন হলো, ইসরায়েলের মিসাইল সুনির্দিষ্টভাবে শীর্ষ কর্মকর্তাদের বেডরুমে হামলা করল? প্রযুক্তির কল্যাণে এখন এমনকি তাদের বেডরুমের অবস্থানও জানা সম্ভব হয়েছে। এর উত্তর হলো আরও স্পর্শকাতর প্রযুক্তি, যেটার উন্নয়নে নিয়ে গত দুই বছর ধরে কাজ করেছে ইসরায়েল।

রামি বলেন, ইরানি সেনা কর্মকর্তারা যেখানে ঘুমাচ্ছিলেন, সেসব নির্দিষ্ট ঘরেই মিসাইলের আঘাত হানা হয়েছে। এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই বলেও জানান ইগ্রা।

তবে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের মৃত্যু ইরানের সার্বিক প্রতিরক্ষা শক্তিতে তেমন প্রভাব ফেলবে না বলেও মন্তব্য করেন মোসাদের সাবেক এই উপপ্রধান।

সাক্ষাৎকারে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংস্থাটির সাবেক উপপ্রধান।

তার মতে, যদি ইরান সত্যিই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম হয়, তবে এর দায়ভার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর বর্তায়। কারণ তারাই ইরানকে পরমাণু চুক্তি থেকে সরিয়ে দিয়েছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মৃত্যু, যুবক আটক

মুরাদনগরের সেই নারীর ১২ দিন পর ডাক্তারি পরীক্ষা

সাগরে আড়াই ঘণ্টা, মায়ের কোলেই প্রাণ গেল শিশু আব্দুর রহমানের

অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাবগুলো ডিজিএফআইয়ের, সাবেক মহাপরিচালক হামিদুল হকের নয় : দুদক

ভাড়া দিতে দেরি করায় ভাড়াটিয়াকে ভেতরে রেখেই তালা দিলেন মালিক

যাত্রাবাড়ীতে ১০ হাজার ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে পরীমণির মামলা বাতিল 

ষড়যন্ত্রকারীরা যত চেষ্টাই করুক, সফল হবে না : আমিনুল হক

ভারতীয় নার্সের ফাঁসি হতে যাচ্ছে ইয়েমেনে

ইসরায়েলের ৫ সামরিক স্থাপনায় সরাসরি আঘাত হানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র : রয়টার্স

১০

সিলেটের ডিসির সঙ্গে আরিফের সমঝোতা!

১১

ব্যাটিং ব্যর্থতায় শ্রীলঙ্কায় সিরিজ হাতছাড়া বাংলাদেশের

১২

ঢাকা কলেজে উন্মুক্ত পাঠাগার

১৩

প্রতিরক্ষা সচিব পরিচয়ে প্রতারণা, সতর্ক করল আইএসপিআর

১৪

পাকিস্তানে স্বনামধন্য ২৭ ইউটিউব চ্যানেল বন্ধের নির্দেশ

১৫

জমি দখল করতে এসে দুই ভুয়া মেজর আটক

১৬

এ দেশ হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান নৃগোষ্ঠী সবার : অপর্ণা রায়

১৭

লোহিত সাগরে জাহাজ ডুবিয়ে দেওয়ার দাবি ইয়েমেনিদের

১৮

বিমানবাহিনীর এয়ার মার্শাল সম্মেলন অনুষ্ঠিত

১৯

জুলাইযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন

২০
X