যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা অর্থহীন; বরং এটি দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। মঙ্গলবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এ মন্তব্য করেছেন।
খামেনি বলেন, ইরান উচ্চ পর্যায়ের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে। ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধি প্রযুক্তিধারী বিশ্বের দশটি দেশের মধ্যে একটি হলেও দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায় না।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাহায্যকারীদের মন্তব্যকে অবজ্ঞাসূচক উল্লেখ করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সীমা নির্ধারণের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার কোনো লাভ নেই; বরং এতে দেশের ক্ষতি হয় এবং কিছু ক্ষতি আছে যা পূরণ করা যায় না। যুক্তরাষ্ট্রের আসল উদ্দেশ্য কখনোই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধি বন্ধ করা ছাড়া কিছু নয়। খামেনি এটিকে আলোচনার পরিবর্তে চাপ আর আদেশ বলে উল্লেখ করেছেন।
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় সম্মতি না দিলে সামরিক হামলার হুমকির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো সম্মানিত জাতি এমন হুমকি বা চাপের মধ্যে আলোচনায় বসে না।
এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ ঘোষণা করেছে, ইউরোপীয় দেশগুলোর কারণে জাতিসংঘের বিরুদ্ধে পুনঃপ্রবর্তিত নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে তারা আন্তর্জাতিক পারমাণবিক এজেন্সির সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করবে। আগামী ২৮ আগস্ট ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির লঙ্ঘনের দায়ে ‘স্ন্যাপব্যাক’ ব্যবস্থা চালু করেছে। ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো সমাধান না হলে নিষেধাজ্ঞা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনরায় কার্যকর হবে।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ স্থায়ীভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলে ইরান ও ইউরোপীয় শক্তিগুলোর হাতে সীমিত সময় আছে।
মন্তব্য করুন