গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা আংশিকভাবে গ্রহণ করার মাধ্যমে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস একটি নতুন দ্বার উন্মুক্ত করেছে।
শনিবার (০৪ অক্টোবর) আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে শাহবাজ শরিফ বলেন, হামাসের দেওয়া বিবৃতি গাজায় যুদ্ধবিরতি ও শান্তির জন্য একটি সুযোগ তৈরি করেছে। এ সুযোগ হারানো যাবে না। পাকিস্তান তার অংশীদার ও ভ্রাতৃপ্রতীম দেশগুলোর সঙ্গে ফিলিস্তিনের স্থায়ী শান্তির জন্য কাজ চালিয়ে যাবে।
শাহবাজের এ বক্তব্যের আগের দিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলকে গাজায় বোমা বর্ষণ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এর আগে হামাস জানিয়েছিল, প্রায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধ শেষ করতে এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার সময় আটক করে নেওয়া বাকি সব জিম্মিকে ফেরত দেওয়ার পরিকল্পনার কিছু অংশ তারা গ্রহণ করেছে।
ট্রাম্প ঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, হামাস তিন দিনের মধ্যে অবশিষ্ট ৪৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে—যাদের মধ্যে প্রায় ২০ জনকে জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তারা অস্ত্র সমর্পণ করবে। এর বিনিময়ে ইসরায়েল সামরিক অভিযান বন্ধ করবে, অধিকাংশ এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে, শত শত ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে এবং মানবিক সহায়তা ও পুনর্গঠনের পথ খুলে দেবে। গাজার জনগণকে অন্য দেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনাও বাতিল হবে।
ট্রাম্প এ পরিকল্পনা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথভাবে উন্মোচন করেন। এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে পাকিস্তান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, কাতার, মিসর ও জর্ডানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
ট্রাম্প তার বার্তায় লিখেছেন, ইসরায়েলকে এখনই গাজায় বোমা বর্ষণ বন্ধ করতে হবে, যাতে আমরা জিম্মিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে পারি।
অন্যদিকে শাহবাজ শরিফ তার পোস্টে বলেন, আমরা এখন গাজায় যুদ্ধবিরতির সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পসহ কাতার, সৌদি আরব, ইউএই, তুরস্ক, জর্ডান, মিসর ও ইন্দোনেশিয়ার নেতৃত্বকে কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন