কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজায় সৈন্য পাঠাতে যাচ্ছে পাকিস্তান, আজারবাইজান ও ইন্দোনেশিয়া!

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা। ছবি : সংগৃহীত
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা। ছবি : সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি বজায় রাখা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় গঠিতব্য আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনীতে কোন দেশগুলো অংশ নেবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। দ্য পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় পাকিস্তান, আজারবাইজান ও ইন্দোনেশিয়ার সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে এক সক্রিয় ও এক সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাত দেওয়া হয়েছে যে এই তিন দেশই এখন পর্যন্ত শীর্ষ প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক সম্মতি মিলেনি।

পলিটিকোর বরাত মতে, ইন্দোনেশিয়া এ পর্যন্ত একমাত্র দেশ হিসেবে প্রকাশ্যে সৈন্য প্রেরণের প্রস্তাব জানিয়েছে; তারা বলেছেন, জাতিসংঘের অনুমোদনে শান্তিরক্ষী মিশনের আওতায় তারা প্রয়োজন হলে ২০ হাজার সেনা পাঠাতে প্রস্তুত। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে পরিকল্পনা উপস্থাপনা করেছেন, তাতে জাতিসংঘের কোনো সরাসরি ম্যান্ডেটের উল্লেখ নেই।

প্রতিবেদন আরো জানায়, কাতার, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সেনাও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয়ে ইসরায়েলে একটি সামরিক ঘাঁটিতে অবস্থান করে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে ভূমিকা নিতে পারে। তথ্যসূত্র না জানিয়েই পলিটিকো উল্লেখ করেছে, এসব বাহিনীর মূল কাজ হবে গাজায় সংঘাত রোধ, ত্রাণবাহনের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিতকরণ এবং পর্যবেক্ষণ—যদিও চূড়ান্ত ম্যান্ডেট নির্ধারণ বাকি।

যুক্তরাষ্ট্র তৎকালীন পরিকল্পনায় হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ ভবিষ্যৎ ধাপ হিসাবে দেখানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছিলেন, হামাসকে নিরস্ত্র করা হবে—ইচ্ছাকৃত বা বাধ্যকরভাবে। পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা বিষয়ক বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন সুচারুভাবে ম্যান্ডেট নির্ধারণ, অংশগ্রহণকারী দেশ নির্বাচন ও দ্রুত প্রস্তুতি দেখানোই নীতি বাস্তবায়নের জন্য জরুরি।

সাবেক বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তা ড্যানিয়েল শাপিরো পলিটিকোকে বলেছেন, ‘গতি দেখানো এবং অংশগ্রহণকারী দেশ ও ম্যান্ডেট চূড়ান্ত করা রাস্তাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলবে।’

উল্লেখ্য, গাজার দুই বছরের সংঘাতের পর সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। বিশ্বনেতারা যুদ্ধবিরতি স্থিতিশীল রাখার জন্য বহুপাক্ষিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন। আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও বাস্তবতায় কোন দেশগুলো কী ভূমিকা নেবে, তাদের ম্যান্ডেট কেমন হবে—এই প্রশ্নগুলোই এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অপেক্ষা করছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রুয়েট কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে : উপাচার্য

সীমান্তে ২ বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, বিএসএফের অস্বীকার

দেশে স্বর্ণের দাম কমলো

শৈত্যপ্রবাহ ও ঘূর্ণিঝড় নিয়ে নতুন বার্তা

খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে তিন বাহিনীর প্রধান

তালাকের পর ফের বিয়ে, যে ব্যাখ্যা দিলেন সাবিকুন নাহার

লড়াই করেও আজারবাইজানের বিপক্ষে বাংলাদেশের হার

‘বেচো’ প্ল্যাটফর্মের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

এবার কাজের সময় নিয়ে মুখ খুললেন ‘ড্যান্সিং কুইন’ মাধুরী

সিলেটেই পর্দা উঠছে বিপিএলের ১২তম আসরের, দেখে নিন পূর্ণাঙ্গ সূচি

১০

তারেক রহমান দেশে ফিরলে কি এসএসএফ সুবিধা পাবেন?

১১

ইউরোপীয় ক্রিকেটে বড় লাফ: ২০২৬ সালে শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

১২

মিনিস্ট্রি অডিটে ঘুষকাণ্ড / সরিয়ে দেওয়া হলো সেই দুই অডিট অফিসারকে 

১৩

হাসপাতালের বাথরুমে নবজাতক, মা-বাবাকে খুঁজছে পুলিশ

১৪

অবশেষে অনশন ভাঙলেন সেই এনসিপি নেতা

১৫

পুরো মৌসুমের জন্য ছিটকে গেলেন বার্সা তারকা

১৬

সৌদি যুবরাজের মাধ্যমে ৩ শর্ত পাঠিয়েছেন ট্রাম্প, ইরানি এমপির দাবি

১৭

বাজারে আসছে আরেক নতুন নোট

১৮

জকসু নির্বাচন / আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ছাত্রশিবির প্যানেলের দুই প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

১৯

শাহরুখের মার্কশিট ভাইরাল, দেখে অবাক ভক্তরা

২০
X