ইসরায়েলগামী অসংখ্য ফ্লাইট বাতিল করেছে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো। এমন পরিস্থতিতে নিজস্ব এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরার ব্যবস্থা করছে দেশটি।
ইসরায়েলের ওপর হামাসের আকস্মিক হামলা বেনগুরিয়ান এয়ারপোর্টের যাত্রীদের দেশত্যাগ ও দেশে ফেরায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। যদিও ইলিয়াতের কাছাকাছি অবস্থিত বেনগুরিয়ন এবং রামন এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ বহির্গামী ও আগমনী ফ্লাইট চালু আছে বলে জানিয়েছে।
গ্লোবনিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, বেনগুরিয়ন এয়ারপোর্টে শুধু তিন নম্বর টার্মিনাল খোলা রয়েছে এবং এক নম্বর টার্মিনাল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।
রোববার (৮ অক্টোবর) ৬০ হাজার যাত্রী বেনগুরিয়ন এয়ারপোর্ট দিয়ে যাওয়া আসা করবেন ধারণা করা হচ্ছে। এসব যাত্রীদের মধ্যে দেশের বাইরে ছুটি কাটিয়ে বাড়ি ফেরা ইসরায়েলিরা রয়েছেন। এ ছাড়া যেসব সৈন্যরা তাদের ইউনিটে যোগদান করতে চাইছেন, তারাও আছেন এই তালিকায়।
বিভিন্ন বিদেশি এয়ারলাইন্স যেমন- লুফতথানসা, এয়ার ফ্রান্স এবং উইজ এয়ার ইসরায়েল থেকে এবং ইসরায়েল অভিমুখে সব ফ্লাইট বাতিল করেছে। বীমার কারণে কারণে তারা এমনটা ঘোষণা দেয়। কেননা বীমার নিয়ম অনুযায়ী যুদ্ধের সময় ইসরায়েলে ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সংগঠন হামাস। জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০০ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, গাজায় প্রায় সাড়ে সাতশ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উভয়পক্ষে আহত হয়েছেন হাজারো ব্যক্তি।
হামাসের হামলার পরপরই তাদের ওপর চরম প্রতিশোধ নেওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল সরকার। সেই অঙ্গীকার বাস্তবে রূপ দিতে গাজায় একের পর বিমান হামলা চালাচ্ছ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ২৩ লাখ মানুষের এই অঞ্চলকে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। অবরোধের অংশ হিসেবে খাবার থেকে শুরু করে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ গাজায় পূর্ণ অবরোধের নিন্দা জানালেও সেইদিকে কর্ণপাত করছে না নেতানিয়াহু সরকার। এমনকি মঙ্গলবার রাতে সবকিছু বন্ধ করে দিয়ে বিমান হামলা আরও জোরদার করে তারা।
[তথ্যগত ভুল থাকার কারণে সংবাদটি সংশোধন করা হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।]
মন্তব্য করুন