অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির দাবি এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনের অংশ হিসেবে ক্রমবর্ধমান হারে ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামের প্রতীক কেফিয়্যাহ কিনছেন বহু মার্কিন নাগরিক। কেফিয়্যাহ পরে বিভিন্ন দমন-পীড়নের শিকার হলেও তা কেনা অব্যাহত রেখেছেন আমেরিকানরা। এমনকি বেশ কয়েকটি বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে জোর করে কেফিয়্যাহ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। খবর রয়টার্সের।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের কেফিয়্যাহ তৈরির সর্বশেষ প্রতিষ্ঠান হিরবাউই। ফিলিস্তিনি এই প্রতিষ্ঠানের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে বেচে থাকে মার্কিন প্রতিষ্ঠান আজার আগায়েভ। আজার আগায়েভ জানিয়েছে, হঠাৎ করে আমাদের ওয়েবসাইটে একযোগে শত শত মানুষ প্রবেশ করে এবং তারা যা পেরেছে তাই কিনেছেন। দুদিনের মধ্যে আমাদের স্টক শেষ হয়ে যায়। শুধু শেষ হয়নি, অতিরিক্ত বিক্রি হয়েছে।
মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি আরও বলেছে, হিরবাউই যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির ওয়েবসাইট এবং অ্যামাজনের মাধ্যমে বিশ্ববাজারে কেফিয়্যাহ বিক্রি করে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েবসাইটে ৪০ ধরনের কেফিয়্যাহ রয়েছে। এদের সবই বিক্রি হয়ে গেছে।
ই-কমার্সের অ্যানালিটিক্স প্লাটফর্ম জঙ্গল স্কাউটের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থ্যাৎ ৫৬ দিনে অ্যামাজনে কেফিয়্যাহ বিক্রি ৭৫ শতাংশ বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কেফিয়্যাহ বিক্রিন পরিমাণ বৃদ্ধি ছাড়াও ঐতিহ্যবাহী ফিলিস্তিনি এই পোশাক নিয়ে মানুষের মাঝে আগ্রহও বেড়েছে। এর প্রমাণ মেলে সার্চ ইঞ্জিনে মানুষের অনুসন্ধান থেকে। গত তিন মাসের তুলনায় ‘নারীদের জন্য ফিলিস্তিনি স্কার্ফ’ লিখে অনুসন্ধানের পরিমাণ ১৫৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ‘সামরিক স্কার্ফ শেমাঘ’, ‘কেফিয়্যাহ প্যালেস্টাইন’ এবং ‘কেফিয়্যাহ’ লিখে অনুসন্ধানের পরিমাণ যথাক্রমে ৩৩৩, ৭৫ ও ৬৮ শতাংশ বেড়েছে।
৩৮ বছর বয়সী হাজামি বারমাদা জাতিসংঘের একজন সাবেক কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় বসবাস করেন। সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে মার্কিন হোয়াইট হাউসের বাইরে ও ওয়াশিংটনের জর্জটাউনে অনুষ্ঠিত হওয়া বিক্ষোভে কেফিয়্যাহ পরে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বলেন, কেফিয়্যাহ পরলে নিজের ভেতরে একটা সুপার পাওয়ার অনুভব করি।
মন্তব্য করুন