রমজান আসলেই নতুন রূপে সাজে মুসলিম দেশগুলো। সিয়াম সাধনার এ মাসে চারদিকে তৈরি হয় উৎসবের আমেজ। তেমনিভাবে রমজানে পাল্টে যেতে থাকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পরিবেশ। তবে পরিস্থিতি বদলে গেছে। রমজানে সেখানকার পরিবেশ নিয়ে মর্মাহত হয়েছেন স্থানীয়রা। বুধবার (০৩ এপ্রিল) খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পবিত্র রমজান মাসে আমিরাতে খাওয়া-দাওয়া ও প্রকাশ্যে ধূমপান চলছে। এমনকি এ মাসেও একসঙ্গে তরুণ-তরুণীদের অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আমিরাতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করা ব্রিটিস প্রবাসী ইম্মা ব্রেইনস রমজান নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। তার এ ভিডিও প্রকাশের পর রমজানে আমিরাতের বাসিন্দাদের মধ্যে আচার-আচরণে যে পরিবর্তন এসেছে তা নিয়ে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, আমিরাতে রমজানেও প্রকাশ্যে খাওয়া দাওয়া বন্ধ হচ্ছে না। সেখানে অশোভন কাপড় পরে বের হচ্ছেন অনেকে। এছাড়া অশ্লীলতাও চলছে দেদার।
খালিজ টাইমসকে ইম্মা ব্রেইনস জানান, আমি মানুষকে প্রকাশ্যে খেতে ও ধূমপান করতে দেখে আশ্চর্য হয়েছি। কিছু জায়গা অবশ্য উন্মুক্ত। কিন্তু রমজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি ধাপ তো অন্তত থাকবে। মানুষ ও স্থানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ব্যবধান তৈরি করে।
আরব আমিরাতে রমজানে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ খোলা থাকে। অন্য জাতি ও বর্ণের মানুষদের জন্য এগুলো খোলা রাখা হয়।
দেশটিতে এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে হামদা নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এটি সম্মান প্রদর্শনের ঘাটতি। আমি এবারের রমজানে আশ্চর্য হয়েছি। মানুষ প্রকাশ্যে ধূমপান ও খাওয়া-দাওয়া করছে। যারা রোজা থাকে না তাদের কোনো গোপন স্থান বা বিশেষ জায়গায় খাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আয়েশা নামের এক নারী বলেন, আমি বোনদের নিয়ে একটি থিম পার্কে গিয়েছিলাম। সেখানে একটি যুগলকে আমি কাছাকাছি আসতে দেখি। বিষয়টি আমার জন্য বিব্রতকর ছিল। কারণ আমরা পারিবারিক সৌহাদ্যপূর্ণ সমাজে বসবাস করি।
ইম্মা জানান, আমিরাতে এখন কিছু মানুষের দেহে এমন পোশাকও দেখা যায় যা তারা নিজেদের দেশেও পরেন না। তিনি দেশটির সংস্কৃতি ও রমজানকে সম্মান দেখিয়ে পোশাক পরার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন