মধ্যপ্রাচ্যে আলোচনার শীর্ষে এখন ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা। দুই দেশের মধ্যকার এ উত্তেজনা নিয়ে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিখ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস বিষয়টি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছেন। আমরা এমন একটি পরিস্থিতির সম্ভাব্য বৃদ্ধি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। এটি প্রতিদিনের ভিত্তিতে বাড়ছে।
তিনি জানান, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এ অঞ্চলে কোনো পক্ষের সম্ভাব্য সামরিক কার্যকলাপে জড়ানোর তথ্য নেই। তিনি উত্তেজনা এড়াতে এবং পরিস্থিতি শান্ত করতে কাজ করার আহ্বান জানান।
এদিকে আনাদোলু এজেন্সি এবিসি নিউজের বরাতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সামরিক প্রস্তুতির বিষয়ে নিশ্চিত। এ ব্যাপারে গভীরভাবে খোঁজ রাখা হচ্ছে। এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এবিসি নিউজকে জানান, পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর দুটি ডেস্ট্রয়ার মোতায়েন রয়েছে। এগুলো উন্নত যুদ্ধ ব্যবস্থায় সজ্জিত। যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্রের আক্রমণ হলেও তা প্রতিরোধে সক্ষম। এ ছাড়া এসব থেকে এ অঞ্চলে অন্যান্য সামরিক তৎপরতার ওপর নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলায় সম্ভাব্য ব্যবহারের জন্য ১০০-এর বেশি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে। যে কোনো সময় এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে।
এর আগে বুধবার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাটজ জানান, তেহরান ইসরায়েলে হামলা চালালে তেল আবিব তার শক্ত জবাব দেবে। নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে হিব্রু ও ফারসি ভাষায় দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, ইরান যদি তার ভূখণ্ড থেকে হামলা করে তাহলে ইসরায়েল জবাব দেবে। তারাও ইরানে আক্রমণ করবে।
এরও আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দামেস্কে তাদের কনস্যুলেটে হামলার ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেন। ইসরায়েলের ওই হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিসহ বেশ কয়েকজন নিহত হন। তিনি ২০১৬ সাল পর্যন্ত লেবানন ও সিরিয়ায় আল কুদস ব্রিগেডের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।
মন্তব্য করুন