উত্তর-পশ্চিম কানাডায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে দাবানল। দিন যত গড়াচ্ছে জনবসতির দিকে এগিয়ে আসছে দাবানলের আগুন। দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় পশ্চিমাঞ্চলের ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছে সরকার।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ২৩৬টি দাবানল সক্রিয় রয়েছে। এই অঞ্চলের রাজধানী ইয়েলোনাইফ শহরে ২০ হাজার মানুষ বসবাস করেন। শহরের দিকে দাবানল দ্রুত এগিয়ে আসায় বাসিন্দাদেরে শহর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে দাবানলের আগুন শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।
তবে প্রবল বাতাসের কারণে এই সপ্তাহের শেষ দিকে দাবানল শহরের উপকণ্ঠে এসে পড়তে পারে। যদিও এই সময়ে সামান্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গতকাল শুক্রবার রাতে এডমন্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, বিমানে করে উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষকে সরিয়ে নিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, আমরা বিমানে করে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম সমন্বয় করছি। মানুষের সব প্রয়োজনে যেন আমরা পাশে থাকতে পারি, তা নিশ্চিত করছি। মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে সামনের দিনেও আমরা সেখানে থাকব। এমনকি যেখানে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেখানে আমরা পুনর্নির্মাণ করছি।
পৃথক আরেক প্রেস ব্রিফিংয়ে কানাডিয়ান নেতারা বলেছেন, তারা শহরের সব মানুষকে সরিয়ে নেবেন। কেউ বাদ থাকবে না। সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।
এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার জরুরি বিমানে করে এক হাজারের বেশি মানুষ ইয়েলোনাইফ শহর ছেড়ে গেছেন। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত বিমানের ২ হাজার সিট বাকি রয়েছে। এ ছাড়া বিমানে করে শহর ছাড়তে লাইনে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন মানুষ। তবে কর্মকর্তারা বিমানের পাশাপাশি মানুষকে গাড়িতে করে শহর ছাড়ার অনুরোধ করেছেন।
এদিকে দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় পশ্চিমাঞ্চলের ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছে সরকার। ব্রিটিশ কলম্বিয়ার প্রিমিয়ার ডেভিড ইবি সতর্ক করে বলেছে, ব্রিটিশ কলম্বিয়ার পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হচ্ছে। আগামী দিন আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৮০০ হেক্টর এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল। এতে ওই ওলাকায় প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কানাডার কর্মকর্তারা বলছেন, পশ্চিম কেলোনাতে আগুনে অনেক বাড়িসহ কয়েকটি অবকাঠামো পুড়ে গেছে। তবে এখানো প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন