কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পার্লামেন্ট ছাড়ার সময় ব্যতিক্রমী ভঙ্গিতে জাস্টিন ট্রুডো!

ট্রুডো এক হাতে চেয়ার ধরে আছেন এবং জিহ্বা বের করে আছেন, যা অনেকের কাছেই অপ্রত্যাশিত লেগেছে। ছবি : সংগৃহীত
ট্রুডো এক হাতে চেয়ার ধরে আছেন এবং জিহ্বা বের করে আছেন, যা অনেকের কাছেই অপ্রত্যাশিত লেগেছে। ছবি : সংগৃহীত

কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে যাওয়ার পর জাস্টিন ট্রুডোর পার্লামেন্ট ছাড়ার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ছবিতে দেখা গেছে, ট্রুডো এক হাতে চেয়ার ধরে আছেন এবং জিহ্বা বের করে আছেন, যা অনেকের কাছেই অপ্রত্যাশিত লেগেছে।

কানাডার প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, সংসদ সদস্যরা পার্লামেন্ট ছাড়ার সময় তাদের আসন নেওয়ার অনুমতি পান। তবে ট্রুডোর বিদায়ের সময় তার অদ্ভুত ভঙ্গি অনেককে অবাক করেছে।

টরন্টো সানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ব্রায়ান লিলি এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, যে কোনো সংসদ সদস্য কমন্স ত্যাগ করার সময় তার আসন সঙ্গে নিতে পারেন। এটি চমৎকার একটি ঐতিহ্য, তবে ট্রুডোর এই ছবি কিছুটা অদ্ভুত। অনেকে মনে করছেন, এটি আসন্ন নির্বাচনের একটি ইঙ্গিতও হতে পারে।

পদত্যাগের সময় জাস্টিন ট্রুডো লিবারেল পার্টির ‘সাফল্য’ তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা নিয়ে কথা বলেন।

কানাডার ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (সিবিসি) জানায়, লিবারেল লিডারশিপ কনভেনশনে দেওয়া বক্তৃতায় ট্রুডো বলেন, গত ১০ বছরে মধ্যবিত্ত ও কঠোর পরিশ্রমী মানুষের জন্য আমরা যা করেছি, তা নিয়ে আমি গর্বিত।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দায়িত্ব হলো কানাডাকে বিশ্বের সেরা দেশ হিসেবে রাখা। পদত্যাগের আগে লিবারেল সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি আহ্বান জানান, তারা যেন কানাডার উন্নতির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যান।

জাস্টিন ট্রুডো চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ও লিবারেল পার্টির নেতা পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তার সরকারের অধীনে আবাসন সংকট ও জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়, যা তার পদত্যাগের অন্যতম কারণ বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

রবিবার মার্ক কার্নি লিবারেল পার্টির নতুন নেতা নির্বাচিত হন এবং আসন্ন নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব দেবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য দ্বন্দ্ব মোকাবিলার চ্যালেঞ্জের মধ্যেই কানাডার ভবিষ্যৎ পথচলার দায়িত্ব নিলেন কার্নি।

এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে কার্নি লেখেন, ধন্যবাদ। আসুন, একসঙ্গে শক্তিশালী কানাডা গড়ে তুলি। তিনি আরও বলেন, আমরা তখনই সবচেয়ে শক্তিশালী থাকি, যখন আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি।

জাস্টিন ট্রুডোর বিদায়ী ভঙ্গি নিয়ে যত বিতর্কই থাকুক, তার নেতৃত্বের সময়কাল নিয়ে আলোচনা আরও অনেক দিন চলবে। নতুন নেতৃত্বে লিবারেল পার্টি কীভাবে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

সূত্র: এনডিটিভি

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

একাত্তরের ইস্যুর সমাধান চাইল এনসিপি

রাজধানীতে তামাকের বিরুদ্ধে ‘ইয়ুথ মার্চ’

বুড়িগঙ্গা নদী থেকে নারী-শিশুসহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

ত্রিবার্ষিক সম্মেলন / আবারো জামালপুর জেলা বিএনপির নেতৃত্বে শামীম-মামুন

দাবি আদায় ছাড়া ঘরে না ফেরার ঘোষণা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বস্তিবাসীর

লিডসের বিরুদ্ধে আর্সেনালের গোল উৎসব

আউটসোর্সিং কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষিত: জোনায়েদ সাকি

এনসিপির কর্মকাণ্ডে ফিরছেন সারোয়ার তুষার

যৌথ বাহিনীর অভিযানে পিস্তলসহ যুবক গ্রেপ্তার 

সাংবাদিকের বাড়িতে চুরি, স্বর্ণালংকারসহ ৫ লাখ টাকার ক্ষতি

১০

৪৫ বছর ভাত না খেয়েও সুস্থ ও সবল বিপ্লব

১১

চেতনানাশক খাইয়ে দুধর্ষ ডাকাতি

১২

রংপুর বিভাগের ৩৩ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ঘোষণা

১৩

প্রার্থিতা প্রত্যাহার নিয়ে ছাত্রদলের নির্দেশনা, না মানলে ব্যবস্থা

১৪

নারী শিক্ষার্থীকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে চাকরি খোয়ালেন বেরোবি সমন্বয়ক

১৫

হাওর ও চরাঞ্চলের শিক্ষক বদলির তদবির আসে ওপর থেকে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

১৬

জয় স্যুটকেস ভরে টাকা নিয়ে গেছে : সোহেল

১৭

২৫ বছর ধরে বাঁশির মায়ায় আটকে আছে শফিকুলের জীবন

১৮

একাত্তরেও আ.লীগ পালিয়েছে, এবারও পালিয়ে গেছে : টুকু

১৯

একাদশে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের আবেদন শুরু, শেষ হচ্ছে কবে

২০
X