টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ সাবমেরিনটির সন্ধান এখনো মেলেনি। এর সন্ধানে রাত-দিন অভিযান চালাচ্ছে বিভিন্ন উদ্ধারকারী দল। তবে সময় যত গড়াচ্ছে তাদের নিয়ে শঙ্কা তত বাড়ছে।
উদ্ধার দলের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাগার বলেন, গত রোববার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় সাবমেরিনে ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন ছিল। বর্তমানে সেখানে কত পরিমাণ অক্সিজেন রয়েছে বলা মুশকিল। কেননা এটা নির্ভর করছে তারা কতটা ব্যবহার করছে তার ওপর। তবে আমরা ২০ ঘণ্টার মতো অক্সিজেন রয়েছে ধরে নিয়ে উদ্ধার কাজ করছি। এ অক্সিজেন দিয়ে আগামীকাল সকাল পর্যন্ত চলা যাবে।
এর আগে সমুদ্রের তলদেশ থেকে আওয়াজ শোনা যাওয়ার কথা জানিয়েছিল মার্কিন কোস্টগার্ড। তারা জানায়, ঘণ্টাখানেক আগে কানাডার একটি অনুসন্ধানী বিমান সমুদ্রের তলদেশ থেকে আওয়াজ শনাক্ত করেছে। তবে এটা কিসের শব্দ তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন অ্যাডমিরাল মাগার।
গত রোববার টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে সাগরের তলদেশে যাওয়ার পৌনে দুই ঘণ্টা পর সাবমেরিনটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছেন—পাকিস্তানের ধনকুবের শাহজাদা দাউদ, তার ছেলে সুলেমান, যুক্তরাজ্যের ধনকুবের হ্যামিশ হার্ডিং, ফরাসি সাবমার্সিবল পাইলট পল হেনরি ও টাইটানিক অভিযান সংস্থার সিইও স্টকটন রাশ।
টাইটানিক জাহাজ ডুবে গেছে ১৯১২ সালে। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে আটলান্টিক মহাসাগরে সাড়ে ১২ হাজার ফুট গভীরে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে। পর্যটকরা এখনো বহুল আলোচিত সেই জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে যান।
জানা যায়, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখানোর জন্য ছোট সাবমেরিনে পর্যটক ও গবেষকদের নিয়ে যাওয়া হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আটলান্টিকের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে এবং আবার ভেসে উঠতে প্রায় আট ঘণ্টা লাগে।
প্রথম যাত্রাতেই ভাসমান হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে টাইটানিক ডুবে যায়। এই দুর্ঘটনায় জাহাজে থাকা ২ হাজার ২০০ যাত্রী ও ক্রুদের মধ্যে প্রায় দেড় হাজার মানুষ নিহত হন। ১৯৮৫ সালে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার হয়।
মন্তব্য করুন