কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৩, ১০:১৩ পিএম
আপডেট : ২১ জুন ২০২৩, ১০:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ফুরিয়ে আসছে অক্সিজেন, পর্যটকদের জীবিত উদ্ধার অনিশ্চিত

ফুরিয়ে আসছে অক্সিজেন, পর্যটকদের জীবিত উদ্ধার অনিশ্চিত

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ সাবমেরিনটির সন্ধান এখনো মেলেনি। এর সন্ধানে রাত-দিন অভিযান চালাচ্ছে বিভিন্ন উদ্ধারকারী দল। তবে সময় যত গড়াচ্ছে তাদের নিয়ে শঙ্কা তত বাড়ছে।

উদ্ধার দলের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাগার বলেন, গত রোববার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় সাবমেরিনে ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন ছিল। বর্তমানে সেখানে কত পরিমাণ অক্সিজেন রয়েছে বলা মুশকিল। কেননা এটা নির্ভর করছে তারা কতটা ব্যবহার করছে তার ওপর। তবে আমরা ২০ ঘণ্টার মতো অক্সিজেন রয়েছে ধরে নিয়ে উদ্ধার কাজ করছি। এ অক্সিজেন দিয়ে আগামীকাল সকাল পর্যন্ত চলা যাবে।

এর আগে সমুদ্রের তলদেশ থেকে আওয়াজ শোনা যাওয়ার কথা জানিয়েছিল মার্কিন কোস্টগার্ড। তারা জানায়, ঘণ্টাখানেক আগে কানাডার একটি অনুসন্ধানী বিমান সমুদ্রের তলদেশ থেকে আওয়াজ শনাক্ত করেছে। তবে এটা কিসের শব্দ তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন অ্যাডমিরাল মাগার।

গত রোববার টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে সাগরের তলদেশে যাওয়ার পৌনে দুই ঘণ্টা পর সাবমেরিনটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছেন—পাকিস্তানের ধনকুবের শাহজাদা দাউদ, তার ছেলে সুলেমান, যুক্তরাজ্যের ধনকুবের হ্যামিশ হার্ডিং, ফরাসি সাবমার্সিবল পাইলট পল হেনরি ও টাইটানিক অভিযান সংস্থার সিইও স্টকটন রাশ।

টাইটানিক জাহাজ ডুবে গেছে ১৯১২ সালে। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে আটলান্টিক মহাসাগরে সাড়ে ১২ হাজার ফুট গভীরে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে। পর্যটকরা এখনো বহুল আলোচিত সেই জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে যান।

জানা যায়, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখানোর জন্য ছোট সাবমেরিনে পর্যটক ও গবেষকদের নিয়ে যাওয়া হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আটলান্টিকের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে এবং আবার ভেসে উঠতে প্রায় আট ঘণ্টা লাগে।

প্রথম যাত্রাতেই ভাসমান হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে টাইটানিক ডুবে যায়। এই দুর্ঘটনায় জাহাজে থাকা ২ হাজার ২০০ যাত্রী ও ক্রুদের মধ্যে প্রায় দেড় হাজার মানুষ নিহত হন। ১৯৮৫ সালে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই : মির্জা ফখরুল

সেই ভিক্ষুকের ঘরে মিলল আরও এক বস্তা টাকা

শিশুর উচ্চতা বাড়াতে প্রতিদিনের খাবারে রাখুন এই ৪ জিনিস

রাজধানীর আরও বেশ কিছু এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

গোসলে নেমে প্রাণ গেল ৩ বোনের

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে অ্যাকশনে পুলিশ

ইশরাকের সঙ্গে বাগদান নিয়ে হবু স্ত্রীর স্ট্যাটাস

মোবাইলে আফগানিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচ দেখবেন যেভাবে

‘সেফ এক্সিট’ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি : দুদু

র‍্যাবের গাড়ি-বাসের সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৩

১০

কাঁদতে কাঁদতে নিজের জীবনের যে দুঃখের গল্প শোনালেন মারুফা

১১

আমি কিছুটা ‘লক্ষ্মী’, কিছুটা ‘দুষ্টুও’: মনামী ঘোষ

১২

ডিরেক্টর আর্টিস্ট পয়দা করতে পারে না : যাহের আলভী

১৩

মক্কা থেকে যা বললেন ফারহান

১৪

ইমা অ্যাওয়ার্ডে ‘নিশি’

১৫

পাকিস্তানে পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হামলা, ৭ সদস্য নিহত

১৬

ধামরাই ওদুদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের অ্যালামনাই পরিবার গঠন

১৭

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়টি জনগণের ওপর ছেড়ে দিতে হবে : আমীর খসরু

১৮

কোন জেলার জামাই হচ্ছেন ইশরাক

১৯

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ‘ওয়ান-টু-তে’ সব সমস্যার সমাধান হবে : গোলাম পরোয়ার

২০
X