জাপানের রাজধানী টোকিওতে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। যেখানে দেখা গেছে ‘অবিশ্বাস্য’ ঘটনা। যাত্রীবাহী বিমানটির সব যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে প্রশ্ন হলো কীভাবে?
যুক্তরাজ্যের ক্র্যানফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপাত্তা ও দুর্ঘটনা তদন্ত বিভাগের অধ্যাপক গ্রাহাম ব্রেইথওয়েইটের মতে, জাপানের বিমান পরিসেবাকর্মীদের অসাধারণ দক্ষতা ও কর্মতৎপরতার কারণেই এমনটা সম্ভব হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে ব্রেইথওয়েইট বলেন, ‘আমি ভিডিও ফুটেজে যা দেখলাম, তার ভিত্তিতে বলতে পারি যে এত অল্প সময়ের মধ্যে যাত্রীবাহী বিমানটির সব যাত্রীকে জীবিত উদ্ধারের ঘটনা রীতিমতো অবিশ্বাস্য।’
মঙ্গলবার রাজধানী টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে জাপানের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান পরিসেবা সংস্থা জাপান এয়ারলাইন্সের একটি এয়ারবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় জাপানের কোস্টগার্ড বাহিনীর একটি ড্যাশ ৮ উড়োজাহাজের। এ সময় এয়ারবাসটিতে মোট ৩৭৯ জন যাত্রী ছিলেন।
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত জাপানের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় নোটো বিভাগে ত্রাণ সরবরাহ করে ফিরছিল কোস্টগার্ডের ড্যাশ ৮ উড়োজাহাজটি। হানেদা বিমানবন্দরে ল্যান্ডিংয়ের সময় রানওয়েতে অপেক্ষমাণ এয়ারবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সেটির। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় কোস্টগার্ড উড়োজাহাজের ৫ জন ক্রু নিহত হলেও এয়ারবাসের সব যাত্রীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এই যাত্রীদের মধ্যে মাত্র ৪ জন আহত হয়েছেন।
ব্রেইথওয়েইট বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখে বোঝা যায়, এই দুর্ঘটনাটি প্রতিরোধ করা অসম্ভব ছিল। তবে জাপান এয়ারলাইন্স তাদের নিরাপত্তা এবং ক্রুদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কী পরিমাণ মনযোগ দেয়, তা আমি জানি। তাদের এই অসাধারণ দক্ষ উদ্ধার তৎপরতাই আসলে এই যাত্রীদের প্রাণ বাঁচিয়েছে।’
মন্তব্য করুন