পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সাত শিশুসহ আট যাত্রী নিয়ে মাঝ আকাশে কেবল কার আটকা পড়ার ঘটনায় দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। টানা ১০ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের পর আজ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ওই দুই শিশুকে উদ্ধার করে দেশটির সেনাবাহিনী।
জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সহায়তায় দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অন্ধকার ও ঝোড়ো আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার অভিযান আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। এখন বাকি ছয় জনকে বিকল্প উপায়ে স্থল অভিযানের মাধ্যমে উদ্ধারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেনাবাহিনী। এ ছাড়া উদ্ধারকাজে সহায়তা করতে এক কেবল ক্রসিং বিশেষজ্ঞকে আনা হয়েছে।
এর আগে আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে খাইবার পাখতুনখোয়ার বাট্টগ্রাম জেলার আল্লাই তহসিল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কর্মকর্তারা বলছেন, ওই সাত শিশু তাদের স্কুলে যাচ্ছিল। একপর্যায়ে কেবল কারের দুটি তার ছিঁড়ে যায়। বর্তমানে কারটি মাটি থেকে ৯০০ ফুট উপরে ঝুলছে।
এ ঘটনাকে উদ্বেগজনক অবহিত করে দ্রুত উদ্ধার অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল হক কাকার। পাশাপাশি ওই এলাকায় সব কেবল কারের নিরাপত্তা যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
জিও নিউজ বলছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপের (এসএসজি) একটি দল তাদের জীবন বাঁচাতে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। উদ্ধার অভিযানে সেনাবাহিনীর বিশেষ সদস্যরা ছাড়াও সেনা ও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার অংশগ্রহণ করেছে।
ঘটনাস্থল থেকে এক উদ্ধার কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ঝড়ো বাতাসের কারণে উদ্ধার অভিযান খুবই জটিল হচ্ছে। কেননা হেলিকপ্টারের রটার ব্লেড ওই কারকে আরও নড়বড়ে করে দিতে পারে, এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। তারপরও এরই মধ্যে একটি হেলিকপ্টার ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে এসেছে। একটু পরই আরেকটি হেলিকপ্টার পাঠানো হবে।
স্থানীয় এক শিক্ষক সংবাদমাধ্যম দ্য ডনকে বলেন, ওই এলাকায় গণপরিবহন না থাকায় প্রতিদিন প্রায় ১৫০ শিক্ষার্থী কেবল কারে করে স্কুলে যাওয়া-আসা করে।
মন্তব্য করুন