ভারতের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছে পাকিস্তান। দেশটি জানিয়েছে, ভিসা বাতিল নিয়ে মানবিক সংকট তৈরি করছে ভারত।
শুক্রবার (০২ মে) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এফও) জানিয়েছে, হঠাৎ করে পাকিস্তানি নাগরিকদের ইস্যুকৃত ভিসা বাতিল করায় ভারত মানবিক সংকট তৈরি করছে। দেশটির এমন পদক্ষেপের ফলে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া অনেক রোগী চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখেই গুরুতর অবস্থায় ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভিসা বাতিলের ফলে বহু পরিবার ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়েছে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে শিশুদের পর্যন্ত তাদের বাবা-মায়ের থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। ৩০ এপ্রিল ছিল ভারতে প্রবেশের অনুমতি নিয়ে সীমান্ত পার হওয়ার শেষ দিন। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, এখনো কিছু পাকিস্তানি নাগরিক আটারি সীমান্তে আটকা পড়ে রয়েছেন।
এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ যদি অনুমতি দেয়, তাহলে আমরা আমাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত। আমরা জানাতে চাই, পাকিস্তান ভবিষ্যতেও তাদের নাগরিকদের ফেরাতে ওয়াঘা সীমান্ত উন্মুক্ত রাখবে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়। ভারত হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও এ বিষয়ে তারা কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি।
এই হামলার ঘটনার জেরে ভারত কূটনৈতিক ও কৌশলগত পদক্ষেপ নেয়— সিন্ধু নদীর পানি চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল এবং ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ করা হয়।
পাকিস্তান পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারতের কূটনৈতিক ও সামরিক উপদেষ্টাদের বহিষ্কার করে, ভারতীয় নাগরিকদের (শিখ তীর্থযাত্রী ছাড়া) ভিসা বাতিল করে এবং সীমান্তের নিজ অংশ বন্ধ করে দেয়।
ইসলামাবাদ স্পষ্টভাবে জানায়, তারা এই হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এবং তারা একটি বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ আন্তর্জাতিক তদন্তে অংশ নিতে আগ্রহী। এদিকে নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী যেকোনো পরিস্থিতিতে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা প্রস্তুত এবং আগ্রাসনের জবাবে শক্ত প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম।
মন্তব্য করুন