ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা ও সামরিক সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (১০ মে) উভয় দেশ একটি পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এ চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয় দেশের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সমঝোতা নিশ্চিত করেন।
যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরও, কাশ্মীর অঞ্চলে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে, অন্যদিকে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছে।
এই উত্তেজনার ফলে, উভয় দেশে বিমান চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে। ভারতে ৩২টি বিমানবন্দর ১৪ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, এবং পাকিস্তানে ১৭ শতাংশ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে ১৫০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। দেশটির করাচি, লাহোর, ইসলামাবাদসহ বিভিন্ন শহরের বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুস’ চালু করে ভারতের আগ্রাসনের জবাব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই অভিযানে সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন এবং ‘ইউম-ই-তাশাক্কুর’ উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে চীন, কাতার ও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি এ যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং উভয় দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন।
যদিও যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, সীমান্ত অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ এবং পারস্পরিক অভিযোগের কারণে পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ। উভয় দেশ শান্তি বজায় রাখার অঙ্গীকার করলেও, বাস্তব পরিস্থিতি এখনও স্থিতিশীল নয়।
সূত্র: রয়টার্স, ইন্ডিয়া টুডে, দুনিয়া নিউজ, কাতার ট্রিবিউন
মন্তব্য করুন