পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর রকেট ফোর্স কমান্ড গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এই কমান্ড প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়া হয়। আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এই ফোর্স শত্রুকে সব দিক থেকে আঘাত হানতে সক্ষম।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রচলিত যুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধক্ষমতা তদারকি করবে ওই ফোর্স। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিবেশী চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সামরিক শক্তির সমকক্ষ হওয়ার কৌশলের অংশ হিসেবেই এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বুধবার রাতে ইসলামাবাদে এক অনুষ্ঠানে আর্মি রকেট ফোর্স গঠনের ঘোষণা দেন। চলতি বছরের মে মাসে ভারতের সঙ্গে গত কয়েক দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাতের স্মরণে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়েছিল।
পাকিস্তানের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের একদিন আগে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে শেহবাজ শরিফ বলেন, এটি আধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা সজ্জিত হবে এবং নতুন বাহিনী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যুদ্ধক্ষমতা বৃদ্ধিতে এক মাইলফলক হিসেবে প্রমাণিত হবে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেননি শেহবাজ।
এক জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, নতুন এই বাহিনীর নিজস্ব কমান্ড থাকবে, যা প্রচলিত যুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালনা ও মোতায়েনের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এটি ভারতের জন্যই তৈরি।
ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই দুই পরমাণু-সক্ষম দেশ নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়িয়ে আসছে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ভারতের কাশ্মীরে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। এই হামলার জন্য নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে দায়ী করলেও পাকিস্তান তা অস্বীকার করে।
পরবর্তীতে মে মাসে উভয় দেশের মধ্যে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হয়, যেখানে দুপক্ষই ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে।
ইসলামাবাদ যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা স্বীকার করলেও ভারত তা অস্বীকার করে জানায়, এই সমঝোতা সরাসরি দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে হয়েছে।
মন্তব্য করুন