পাকিস্তানের দেওয়া নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়নের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।প্রতিষ্ঠানটির প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানান।
মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি এক বিবৃতিতে বলেন, এই মনোনয়ন পাকিস্তানের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কূটনৈতিক ভূমিকার স্বীকৃতি। বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ ঠেকানোর ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে সম্মান জানিয়েছে পাকিস্তান।
গত মাসে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রার্থী করার ঘোষণা দেয়। ইসলামাবাদ ট্রাম্পকে একজন প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আখ্যা দেয়। তিনি উপমহাদেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধ রোধে মূল ভূমিকা পালন করেছেন।
এদিকে একইসাথে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও ট্রাম্পের পক্ষে নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসে এক নৈশভোজের সময় তিনি নোবেল কমিটির উদ্দেশ্যে লেখা একটি চিঠি ট্রাম্পকে হস্তান্তর করেন।
নেতানিয়াহু বলেন, তিনি এখনো একের পর এক দেশে, একের পর এক অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করছেন। এটি তার অসামান্য প্রচেষ্টা।
চিঠিতে বিশ্বজুড়ে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রচারে ট্রাম্পের অবিচল এবং ব্যতিক্রমী নিষ্ঠার প্রশংসা করেন নেতানিয়াহু। তিনি লিখেছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের অর্জনগুলোর মধ্যে ‘আব্রাহাম চুক্তি’ সর্বাধিক প্রণিধানযোগ্য।
‘আব্রাহাম অ্যাকর্ড’ হলো, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মরক্কো ও বাহরাইনের মধ্যে স্বাক্ষরিত কয়েকটি চুক্তি। এই চুক্তির মাধ্যমে এই দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন এবং স্বাভাবিকীকরণ করা হয়েছে।
নেতানিয়াহু আরও লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি, সাহসী নেতৃত্ব সংঘাত এবং চরমপন্থা দ্বারা নয়; বরং সহযোগিতা, সংলাপ এবং পারস্পরিক সমৃদ্ধির দ্বারা সংজ্ঞায়িত উদ্ভাবনী কূটনীতিকে উৎসাহিত করেছে।
তিনি আরও লেখেন, স্বল্প সময়ে খুব কম নেতাই ট্রাম্পের মতো সফলতা অর্জন করতে পারেন। বর্তমানে ট্রাম্পের চেয়ে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার বেশি হকদার আর কেউ নেই।
মন্তব্য করুন