পাকিস্তানের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সোমালি বংশোদ্ভূত মার্কিন আইনপ্রণেতা ইলহান ওমর। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক এক্সবার্তায় তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এক্সে ইলহান ওমর লেখেন, পাকিস্তানের ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে হস্তক্ষেপের খবরে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যে কোনো দেশের সরকারের বৈধতা নির্ভর করে সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর; কারচুপি, ভয়ভীতি বা জালিয়াতিমুক্ত ভোটের ওপর। পাকিস্তানি জনগণ একটি স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও প্রকৃত প্রতিনিধিত্বশীল সরকারের চেয়ে কম কিছুর যোগ্য নয়।
তিনি আরও লেখেন, অনিয়ম অভিযোগ নিয়ে বিশ্বাসযোগ্য, স্বাধীন তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এই নির্বাচনের ফলাফলকে স্বীকৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য আমি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
গত বৃহস্পতিবার ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণের দুদিন পার হলেও এখানো সব আসনের ফল ঘোষণা করতে পারেনি দেশটির নির্বাচন কমিশন ইসিপি। এ ছাড়া শুরুতে ১২-১৩ ঘণ্টা ফল প্রকাশে দেরি করায় বিতর্কের মুখে পড়ে ইসিপি। ফলাফল প্রকাশে এমন বিলম্ব নজিরবিহীন বলছেন বিশ্লেষকরা। এমনকি ভোটের দিন দেশটির মোবাইল সেবা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়।
এখন পর্যন্ত ২৬৫ আসনের মধ্যে ২৫২টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে ইসিপি। ঘোষিত ফলে নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টোর দলের চেয়ে বেশ ভালো ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের অধিকাংশই ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে ফলাফলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পিএমএল-এন ও পিপিপি। এই দুটি দল জোট গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছে। ফলে আগামী পাঁচ বছর জোট সরকারই হাতেই থাকছে পাকিস্তান।
মন্তব্য করুন